বিহারে মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর পুলিসের লাঠিচার্জের ২০১৫ সালের ভিডিও কাশ্মীরের ঘটনা বলে শেয়ার করা হল
বুম অনুসন্ধান করে দেখেছে আসলে এটি ২০১৫ সালে বিহারের গর্দানিবাগ এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রতিবাদের ভিডিও যা হিংসাত্মক রূপ নিয়েছিল সেসময়।

পাটনার গর্দানিবাগ এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর পুলিসের লাঠিচার্জের ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিডিওটিতে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর পুলিশের ছবি।
অনেক দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী ফেসবুক ইউজার এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং পুলিশের আচরণের প্রশংসা করে মজা করে সঙ্গে ক্যাপশন দিয়েছেন, “কাশ্মীরে প্রসাদ দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।”
(যে হিন্দি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে- कश्मीर मे प्रसाद बटना शुरू हो गया है )
ফেসবুকে অনেকগুলি পেজে এই ভিডিওটি একই বক্তব্যের সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে।

তথ্য যাচাই
বুম অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়েছে যে ভিডিওটি আসলে বিহারের গর্দানিবাগ এলাকার। ৩৪ সেকেন্ডের মাথায় ভিডিওটিতে গর্দানিবাগ থানার একটি সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছে।

Insert pic caption: পিছন দিকে গর্দানিবাগ থানা দেখা যাচ্ছে।
‘গর্দানিবাগে মুসলিমদের মারা হচ্ছে’ এই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে বুম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি সংবাদ প্রতিবেদনের সন্ধান পায়।
ঘটনাটি ২০১৫ সালের অগস্টের। সেই সময় অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিস-এ-মুশারত (এআইএমএমএম)–র সমর্থকরা এবং মাদ্রাসা শিক্ষকরা ওই রাজ্যের প্রায় ২৪০০ মাদ্রাসায় কাজের পরিবেশ উন্নত করার জন্য প্রতিবাদে সামিল হন।
প্রতিবাদীরা গর্দানিবাগ স্টেডিয়ামে আমরণ অনশনে বসেন। প্রতিবেদন অনুসারে প্রতিবাদীরা কয়েক জন স্টেডিয়ামের বাইরে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপর লাঠি চালানো হয়। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে প্রতিবাদীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসস্থানে ঢোকার করার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনা ইন্ডিয়া টিভিতে দেখানো দৃশ্যের সঙ্গে মিলে যায়।
Claim : পুলিশ জম্মু কাশ্মীরের জনগণকে পেটাচ্ছে
Claimed By : FACEBOOK POSTS
Fact Check : FALSE
Next Story