ইমরান খানের মেজাজ বিগড়ানোর চার বছরের পুরনো ভিডিয়োকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পরের ঘটনা বলে প্রচার
ভাইরাল পোস্টগুলির দাবি ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর পাকিস্তানের অবস্থানকে বিশ্বের কোনও দেশই সমর্থন না করায় ইমরান খানের মেজাজ বিগড়ে যায়। বুম অনুসন্ধান করে দেখেছে, আসল ভিডিয়োটি ২০১৫ সালের।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেজাজ হারাচ্ছেন ইমরান খান। চার বছরের পুরনো এই ভিডিয়োটিই মিথ্যে ক্যাপশন সহ ভাইরাল হয়েছে।
“৩৭০ ধারা প্রসঙ্গে কোনও দেশই পাকিস্তানকে সমর্থন করল না, তাই সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মেজাজ হারালেন”, এমনই লেখা হয়েছে পুরনো ভিডিয়োটির নতুন ক্যাপশনে।
(হিন্দিতে লেখা হয়েছে: धारा 370 पर किसी भी देश का साथ न मिलने पर पागल हुए पाक_PM_इमरान_खान देने लगे पत्रकारों को गालियाँ|)
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, ইমরান খান সাংবাদিকদের চুপ করতে বলছেন, কিন্তু কেউই তাঁর কথা শুনছেন না।
শেষে ইমরান উঠে দাঁড়িয়ে বেশ জোর গলায় বললেন, “সাইলেন্স”। এত ক্ষণে সাংবাদিকরা চুপ করলেন। ভিডিয়োটি নীচে দেখা যেতে পারে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ভিডিয়োটি ফেসবুকের বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে।
তথ্য যাচাই
ভিডিয়ো ক্লিপটির একটি ফ্রেম নিয়ে বুম রিভার্স সার্চ করে। দেখা যায়, এই একই ভিডিয়ো ২০১৭ সালেও ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি, কিছু কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করে আমরা ২০১৫ সালের জুন মাসের আসল ভিডিয়োটিও খুঁজে পাই। ভিডিয়োটি নীচে দেখতে পারেন।
আসল ভিডিয়োটি ২০১৫ সালের জুন মাসের। ইমরান খান তখনও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হননি। সংবাদসূত্র অনুসারে জানা যায়, পাঞ্জাব (পাকিস্তান) পুলিশের হাতে নৃশংস ভাবে নিহত দুই ভাইয়ের প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন ইমরান।
তহরিক-এ-ইনসাফ পার্টির তৎকালীন সভাপতি ইমরান টুইটারেও এই ঘটনাটির প্রতিবাদ করেন।
ইমরানের টুইট আর ইউটিউবে আপলোড হওয়া ভিডিয়ো একই ঘটনার সম্বন্ধীয় কি না, বুম স্বতন্ত্র ভাবে তা প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা এই বিষয়ে নিঃসংশয় যে ভিডিয়োটি ২০১৫ সালের। অর্থাৎ, ভারতে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির সঙ্গে এই ভিডিয়োটির কোনও সম্পর্ক নেই। ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির সিদ্ধান্তটি হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট।