ফেকঃ মশার কামড়ে মহিলারা গর্ভবতী হচ্ছেন না
দেয়ার ইস নিউজ ডট কম ওয়েবসাইট টি আসলে সম্পূর্ণ রূপে বিদ্রূপাত্মক একটি নিউজ ওয়েবসাইট। পোর্টালটিতে মূলত বিদ্রূপের ছলে লেখা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকে।
বাংলা হান্ট, একটি বাংলা নিউজ পোর্টাল, তাদের ভাইরাল বিভাগে, একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেটির শিরোনাম - মশা কামড়ালেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন মহিলারা। খবরটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে স্পেনে এক প্রকার মশার প্রজাতি মহিলাদের কামড়ালেই তারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে লেখা, “বেশ কিছু স্প্যানিশ মহিলা ও গবেষক দাবি করছে, মশার কামড় খেয়ে, তারা হয়ে পড়ছে অন্তঃসত্ত্বা। সম্প্রতি, চিরুলি নামক এক স্মপ্রদায়ের মশা আবিষ্কার হয়েছে। গবেষকদের দাবি অই মশার কামড়ের নাকি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বেশ কিছু স্প্যানিশ মহিলা।“ শুধুমাত্র স্পেন নয়। চিরুলি প্রজাতির মশার কামড়ে গর্ভবতী হয়েছেন উগান্ডা এবং কেনিয়ার মহিলারাও। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে গত দু বছরে ২০০০ জন মহিলা এই কারণে গর্ভবতী হন।
খবরের আর্কাইভ লিঙ্ক দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
শুধু তাই নয়, বাংলা হান্ট ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে যে একদল গবেষক নাকি দাবি করছেন যে খবরটি ভুয়ো। ইউটিউব এও বেশ কয়েকটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে এই মশাদের প্রজাতি সম্পর্কে।
তথ্য যাচাই
বাংলা হান্টের এই খবরটি সম্পূর্ণভাবে ভুয়ো। বুম সার্চ করে প্রতিবেদনের সুত্র খুঁজে পায়। প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয় দেয়ার ইস নিউজ (টিআইএন) ওয়েব পোর্টালে। প্রতিবেদনটি বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন। দেয়ার ইস নিউজ ডট কম ওয়েবসাইট টি আসলে সম্পূর্ণ রূপে বিদ্রূপাত্মক একটি নিউজ ওয়েবসাইট। পোর্টালটিতে মূলত বিদ্রূপের ছলে লেখা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকে।
ওয়েব পোর্টালের অ্যাবাউট আস পেজে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে যে তারা সম্পূর্ণ রূপে একটি বিদ্রুপাত্মক ওয়েবসাইট, এবং সমস্ত খবর যেগুলি প্রকাশিত হয়, সেগুলি মূলত বিনোদনের উদ্দেশ্যে। “টিআইএন এর বিষয়বস্তু কাল্পনিক এবং বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সাইটটিতে প্রদর্শিত সকল রেফারেন্স, নাম, ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানগুলি কোন উপন্যাস বা কথাসাহিত্য অ্যাকাউন্টের মতো প্রাসঙ্গিক উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
আইনের প্রতিষ্ঠিত সীমার মধ্যে, টিআইএন ভুল, অনুপযুক্ত বা অবৈধ ব্যবহার এবং তার ইন্টারনেট পেজগুলিতে থাকা তথ্য বা তথ্যের সত্যতা, সততা, আপডেট এবং নির্ভুলতার অভাব থেকে প্রাপ্ত কোনও দায়িত্ব গ্রহণ করে না।“
বুম বাংলা হান্ট ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে, কিন্তু প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।