বিশ্বজুড়ে ফেসবুক পরিষেবা হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গেলে, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুজব ভাইরাল হয়
মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। ফেসবুক জানিয়েছে, তাদের পরিষেবা ১০০ শতাংশ চালু হয়ে গেছে
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/07/facebook-mark.jpg)
বেশ কিছু মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর দাবি এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ আর টুইটারের মতো সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। বেশ কিছু ব্যবহারকারী বুধবার থেকে ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপে ছবি ও ভিডিও ডাউনলোড করতে না পারার পরেই ওই ধরনের বার্তা ছড়াতে থাকে।
দাবিগুলির মধ্যে বিস্তর ফারাকও লক্ষ করা যায়। একটি মেসেজে বলা হয়, প্রতিদিন রাত ১১.৩০ থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ। দাবিটিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও জড়ানো হয় বিষয়টির সঙ্গে। অন্য একটি মেসেজে বলা হয়, এক সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই খবরের উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয় গুগুলের নাম।
ওই মেসেজে আরও দাবি করা হয়, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার জন্য এবার থেকে টাকা দিতে হবে। এবং তা বন্ধ করার উপায় হল মেসেজটি ১০ জনকে পাঠান।
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/07/WA-1.jpg)
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/07/WA_2.jpg)
সোশাল মিডিয়ায় সার্চ করলে বুম দেখে ফেসবুক আর টুইটারে এ সংক্রান্ত মেসেজ ভাইরাল হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি ছিল হিন্দিতে। তাতে বলা হয়, “ব্রেকিং নিউজ: ভারতে ফেসবুকের প্রধান সার্ভার খারাপ হয়ে গেছে। কোনও ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। কম্পানির কথা অনুয়ায়ী, পরিস্থিতি ঠিক হতে অনেক সময় লাগাবে।”
(ब्रेकिंग न्यूज..भारत के अंदर व्हाट्सएप का मुख्य सर्वर हुआ खराब। आप डाउनलोड नहीं कर सकते कोई भी वीडियो फ़ोटो व्हाट्सएप कंपनी की मानें तो अभी काफी समय लग सकता है स्थिति सही होने में… }
একই ধরনের দাবি ভাইরাল হয়েছিল মার্চ ২০১৯-এ। সেবার মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্র্যামসহ ফেসবুক পরিবারের প্ল্যাটফর্মগুলি অকেজো হয়ে পড়ে।
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/07/The-Guardian-WA-SC.jpg)
ফেসবুক, টুইটারের বক্তব্য
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার জন্য টাকা দিতে হবে, এ দাবিটিও ভুয়ো। হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে বা তার মূল কম্পানি ফেসবুকের কাছ থেকে সে রকম কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
বুম হোয়াটসঅ্যাপের অফিসিয়াল বক্তব্য জানার জন্য তাদের লিখেছে। তাদের উত্তর পাওয়া গেলে, এই প্রতিবেদন আপডেট করা হবে। তবে, ফেসবুক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, সমস্যাটির সমাধান হয়ে গেছে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের সবকটি পরিষেবাই পেতে থাকবেন।
টুইটারে মেসেজ যাচ্ছে না বলে ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করলে টুইটারের তরফ থেকে একটা সমস্যার কথা স্বীকার করা হয়ে। পরে তারা জানায় যে সেটি সমাধানও করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে, বিশ্বজুড়ে ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে, তখন প্রথম-সারির গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ নিজেকে নিয়ে একটু রসিকতা করে। তারা বলে, “আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত। এর পেছনে আমাদের কোনও হাত নেই।”