‘বেডশিট বিক্রয়কারী কুখ্যাত ডাকাতদের থেকে সাবধান’— এরকম কোনও সতর্কতা জারি করেনি কলকাতা পুলিশ
বুমকে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার(ক্রাইম) মুরলী ধর জানিয়েছেন এরকম কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কলকাতা পুলিশ।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টে ২৬ জন ব্যক্তির ছবি শেয়ার করে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে তারা নাকি কুখ্যাত ডাকাত। বিছানার চাদর বিক্রীর ছদ্মবেশে থাকে তারা; কলকাতা পুলিশ নাকি এই সতর্কবার্তা জারি করেছে।
কলকাতা পুলিশ বুমকে জানায়, তারা এই ধরনের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।
ভাইরাল হওয়া পোস্টটিতে ১১ জন ব্যক্তির ছবি দেওয়া হয়েছে। ওই ছবিগুলির নীচে কোনায় লেখা রয়েছে, ‘‘সাবধান!! বেডসিট বিক্রয় করার নামে এরা সবাই এক একজন কুখ্যাত ডাকাত। এদের থেকে সাবধান!!’’
উক্তিটির সূত্র কলকাতা পুলিশ বলে লেখা আছে। অথচ সেখানে কলকাতা পুলিশের কোনও লোগো দেওয়া নেই।
পোস্টের ক্যাপসানঃ ‘‘সাবধান থাকুন আর সাবধান রাখুন। বেডসিট, চাদর বিক্রির নাম করে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে।’’
এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটি শেয়ার করেছেন ৪৩ হাজার জন ও লাইক করেছেন ১ হাজার জনের বেশি। পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

তথ্য যাচাই
বুম কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম), আইপিএস মুরলী ধর-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তিনি বুমকে জানান এই ধরনের কোনও বিজপ্তি জারি করেনি কলকাতা পুলিশ।
কিওয়ার্ড সার্চ করে বুম জানতে পারে ম্যাঙ্গালোরের বাজপি পুলিশ ইরানি গ্যাঙ নামে ওই সতর্কতা জারি করেছিল। ডাইজিওয়ার্লড ১৯ জুলাই ২০১৯ তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, এই গ্যাঙ চিকামগালুরু শহর ও আশেপাশের জেলায় সক্রিয় আছে এবং কম্বল বিক্রির নামে গৃহস্থদের কাছে যায় ও সব লুঠতরাজ করে।

তথ্য যাচাইকারী সংস্থা অল্টনিউজ জানায় উদুপি ও ব্যাঙ্গালোর পুলিশ একই ধরনের বার্তা জারি করেছিল এবছরের জুলাই মাসে। ওই সংস্থাকে উদুপি পুলিশের এসপি জানায় এধরনের কোনও দল ধরা পরেনি। সতর্কতা হিসেবে জারি করা হয়েছিল ওই বার্তা। আর ব্যাঙ্গালোর পুলিশের তরফেও এধরনের বার্তা জারি করা হয়েছিল স্থানীয় থানাগুলিতে।