চন্দ্রযান ২: পৃথিবীর কয়েকটি সম্পর্কহীন ছবি আবার ভাইরাল হয়েছে
বুম দেখে যে, ছবিগুলির মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই, এবং সেগুলি চন্দ্রযান-২ এর তোলাও নয়।
পৃথিবীর বেশ কয়েকটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে যে, ওই ছবিগুলি তোলে চন্দ্রযান-২। এবং সেগুলি প্রকাশ করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। ৭ সেপ্টেম্বর, চাঁদে অবতরণ করার ঠিক আগে, চন্দযান-২ এর ল্যান্ডার বা অবতরণ যান ‘বিক্রম’-এর সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ফেসবুকে ভাইরাল
হিন্দিতে লেখা পোস্টটির বাংলা করলে দাঁড়ায়: “আমাদের মায়ের মতো পৃথিবীর প্রথম ছবিটি তোলে চন্দ্রযান। আপনারাও দেখুন আর আনন্দ অনুভব করুন। এই ব্রহ্মান্ডে কি বিস্ময়কর এক জায়গায় আমরা বাস করি। সারা বিশ্বকে সত্যটা দেখানোর জন্য ইসরোকে ধন্যবাদ। আমাদের সকলকেই রক্ষা করতে হবে এই সুন্দর পৃথিবী। আমরা এই পৃথিবীতে কেন এসেছি, সেটা স্থির করেই আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করব।”
পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
(মূল হিন্দিতে ক্যাপশন: चंद्रयान-2 ने खींची पृथ्वी माँ की पहली फ़ोटो। आप भी देखिए और निहाल हो जाइए कि हम ब्रम्हाण्ड के कितने अद्भुत स्थल पर रहते हैं। थैंक यू ISRO, पूरी दुनिया को सत्य का दर्शन कराने के लिए। इस खूबसूरत धरा को हम सब को बचाना है। इसी संकल्प से हम सब अपने जीवन का लक्ष्य तय करें कि हम इस धरती पर भला आये क्यों हैं।)
তথ্য যাচাই
প্রথম ছবি
আমরা রাশিয়ান সার্চ ইঞ্জিন ইয়ানডেক্স ব্যবহার করে রিভার্স সার্চ করে দেখি ছবিটি ছ’ বছর আগে ‘টাম্বলার’-এ আপলোড করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় ছবি
এই হল ‘সাবস্টর্ম’-এর ছবি। পৃথিবীর ‘ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে’ কোনও রকম গোলোযোগ সৃষ্টি হলে, পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্চিত শক্তির হঠাৎ বিচ্ছুরণ ঘটে। তারই ছবি জুলাই ২০০৮ সালে আপলোড করে নাসা।
তৃতীয় ছবি
এটি একটি স্ক্রিনশট। ছবি সরবরাহকারী সংস্থা শাটারকক-এর ১০ মিনিটের একটি ভিডিও থেকে নেওয়া। ভিডিওটির নাম: ‘সকালের পৃথিবীতে আলো’।
চতুর্থ ছবি
সাধারণ গুগুল সার্চ করতেই দেখা যায় যে, ছবিটি হলিউডে তৈরি কল্পবিজ্ঞানের ফিল্ম ‘নোইং’-এর পোস্টার থেকে নেওয়া। ফিল্মটি ২০০৯ সালে মুক্তি পায়।
পঞ্চম ছবি
রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, ছবিটি মহাকাশে তোলা কোনও আসল ফটো নয়। ওটা ওয়ালপেপারের টেমপ্লেট হিসেবে ব্যবহার হয়।
ইসরোর প্রকাশিত চন্দ্রযান-২-এর তোলা প্রকৃত ছবি
এই ছবিগুলি হলো চন্দ্রযান-২-এর তোলা ছবি। ইসরো সেগুলি প্রকাশ করেছে।