BOOM
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক
  • আইন
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Methodology-icon
    Methodology
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফ্যাক্ট চেক-icon
    ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ-icon
    বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক-icon
    ফাস্ট চেক
  • আইন-icon
    আইন
  • Home
  • ফ্যাক্ট চেক
  • ছেলেধরার গুজব: ঝাড়খন্ডের ভিডিও...
ফ্যাক্ট চেক

ছেলেধরার গুজব: ঝাড়খন্ডের ভিডিও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মুম্বাইয়ে

বুম ঝাড়খন্ড পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে ভিডিওটি মুম্বাইয়ের নয়, ঝাড়খন্ডের।

By - Nivedita Niranjankumar |
Published -  9 Oct 2019 2:05 PM IST
  • ঝাড়খন্ডে তোলা একটি ভিডিওতে, পুলিশ আধিকারিকদের চার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। ওই লোকগুলিকে তারা ছেলেধরা পেশার কায়দা-কানুন সম্পর্কে প্রশ্ন করছেন। সেই ভিডিও এখন মুম্বাইয়ের নানা এলাকায় শেয়ার করা হচ্ছে এই বলে যে, ওই ছেলেধরার দলটি এখন মুম্বাইয়ে পৌঁছে গেছে। ভিডিওটির সঙ্গে দেওয়া বার্তায় সকলকে ছেলেধরা দলটি সম্পর্কে সাবধান করে দিয়ে বলা হচ্ছে, শরীরের নানা অরগ্যান বা অঙ্গ কেটে নেওয়ার জন্য তারা বাচ্চাদের ধরে।

    ভাইরাল-হওয়া ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "অ্যাটেনশন! বিগত কয়েক সপ্তাহে নাল্লাসোপরা আর ভাসাই অঞ্চলে বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আজকেও বিদ্যা বিকাশিনী স্কুলে এই রকম ঘটনা ঘটেছে। সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যেন বাচ্চাদের প্রতি নজর রাখেন। কোনও বেআইনি ঘটনা ঘটছে কিনা সে ব্যাপারে সজাগ থাকুন। সেরকম কিছু চোখে পড়লে, তা রিপোর্ট করতে পিছপা হবেন না। সোসাইটি এলাকার মধ্যে অচেনা ব্যক্তিদের ঘুরে বেড়াতে দেবেন না। গার্ডদেরও অনুরোধ করা হচ্ছে, তারা সুরক্ষার কাজটা যেন আরও জোরদার করেন। নিরাপত্তার কাজ নিজেদের দিয়েই শুরু করতে হয়। আমাদের প্রত্যেককেই নিশ্চিত করতে হবে যে, সব ঠিকঠাক আছে।"

    ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন পুলিশ আধিকারিক চারজন লোককে জেরা করছেন। এবং তাদের মধ্যে একজন বোঝাচ্ছে তারা কী ভাবে বাচ্চাদের ধরে। কেন তারা বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যায়, জানতে চায় পুলিশ। উত্তরে তারা বলে, দেহাংশ নেওয়ার জন্যই তারা সে কাজ করে।

    বুমের হেল্পলাইনেও ওই বার্তাটি আসে।

    মুম্বাইয়ে যে সব বার্তা ছেলেধরার দল এসে গেছে বলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, সেগুলির মধ্যে এটি হল একটি। বার্তাটিতে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, মুম্বাইয়ের চেম্বুর, কুরলা এবং বান্দ্রায় কয়েকটি বাচ্চা অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

    হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া ভুয়ো বার্তাটি।

    তথ্য যাচাই

    বুম দেখে, বার্তাগুলি বাচ্চা অপহরণের দেশব্যাপী নানা গুজবেরই অংশ। আমরা ওই ধরনের প্রতিটি বার্তা সার্চ করে এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তা খন্ডন করি।

    বার্তায় দাবি ভাসাই অঞ্চলে ছেলেধরা আছে

    বুম দেখে যে, ভাইরাল-হওয়া ভিডিওটি আসলে ঝাড়খন্ডের ধানবাদে তোলা। অথচ দাবি করা হচ্ছে, ভাসাইতে গ্রেপ্তার-হওয়া ছেলেধরাদের তাতে দেখা যাচ্ছে। ওই ভিডিওর একটা প্রধান ফ্রেম দিয়ে রিভার্স সার্চ করলে, ঝাড়খন্ডের এক স্থানীয় কাগজে প্রকাশিত একটি খবর সামনে আসে। তাতে ধানবাদের রেলরক্ষী বাহিনীর দ্বারা একটি বাচ্চা অপহরণকারী চক্র ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বলা হয়।

    ঝাড়খন্ড থেকে প্রকাশিত দৈনিক 'হিন্দুস্থান'এ 'বাচ্চা ও কিডনি পাচার চক্রের ৪ জন গ্রেপ্তার', এই শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয় ৩ সেপ্টেম্বর। খবরটির সঙ্গে ওই ছেলেধরাদের ছবিও ছাপা হয়। গ্রেপ্তারকারী রেলরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাদের।

    হিন্দুস্থান সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছেলেধরা গ্রেফতারির খবর।


    আমরা আরও একটি রিপোর্টের সন্ধান পাই। তাতে একটি ভিডিও ছিল। একজন পুলিশ আধিকারিক ওই কেসটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাচ্ছিলেন। ভাইরাল ভিডিওটি ওই সংবাদ বুলেটিনেরই অংশ।

    আমরা ওই পুলিশ অফিসারকে ধানবাদ রেলরক্ষী বাহিনীর ইনস্পেক্টর অবিনাশ করোসিয়া বলে শনাক্ত করি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উনি ভিডিওটির অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেন। "ওই চারজন যখন ট্রেনে একটি বাচ্চাকে অপহরণ করার চেষ্টা করছিল, আমরা তখন তাদের গ্রেপ্তার করি। ভিডিওটি আমাদেরই। লোকগুলিকে জেরা করার সময় তোলা।"

    বার্তার দাবি, চেম্বুরে বাচ্চা অপহরণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার মহিলা

    দ্বিতীয় বার্তাটিতে দাবি করা হয়েছে যে, চেম্বুরে ন'টি বাচ্চা অপহৃত হয়েছে। ওই কাজ করার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন এক মহিলা। তিনি নাকি বলেছেন যে, "বাচ্চা চুরি করার জন্য ১,৫০০ জন ঢুকেছে মুম্বাইয়ে"

    জোন-ফাইভ'র ডিসিপি শশীকুমার মিনা'র সঙ্গে যোগাযোগ করে বুম। যে অঞ্চলে ঘটনাগুলি ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেগুলি তাঁরই এক্তিয়ারভুক্ত। যে বার্তা ছড়ান হচ্ছে, সেটিকে "গুজব" বলে উড়িয়ে দেন মিনা। উনি বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে গনপিটুনির হাত থেকে শিবাজি নগরে উদ্ধার করার পর থেকেই গুজব ছড়াতে আরম্ভ করে।

    "৩ সেপ্টেম্বর, কাশীবাই পাওয়ার নামের এক মহিলাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে। কারণ, সে নাকি একটি বাচ্চা মেয়েকে চুরি করার চেষ্টা করছিল। লোকেরা তাকে মারধোর করতে শুরু করে দেয়। কিন্তু ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। মহিলা সোলাপুরের বাসিন্দা। কিন্তু কেন তিনি এখানে আসেন, তার কোনও পরিষ্কার উত্তর দিতে পারেননি। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি এবং কেসও দেওয়া হয়েছে," বলেন মিনা। উনি আরও জানান যে, ওই মহিলার কাছে কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, "১,৫০০ ছেলেধরা শহরে প্রবেশ করেছে" সে রকম কোনও কথাই বলেননি ওই মহিলা।

    "মেসেজের বিষয়বস্তু ভিত্তিহীন ও ভুয়ো। আমরা আবেদন করছি, কেউ যেন এ সব বিশ্বাস না করেন এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশকে জানান," বলেন মিনা।

    মুম্বাই পুলিশের মুখোপাত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে মুম্বাই পুলিশের তরফ থেকে করে বলা হয়, কেউ যেন গুজবে কান না দেন।

    Tags

    CHEMBUR CHILD KIDNAPPERCHILD KIDNAPPERSCHILD KIDNAPPING LYNCHINGSCHILD KIDNAPPING RUMOURSCHILD KIDNAPPINGSDHANBAD CHILD KIDNAPPING GANGFacebookfake newsFAKE WHATSAPP FORWARDSFeaturedIN THE PAST THREE DAYS 9 CHILDREN HAVE BEEN KIDNAPPEDKIDNAPPING IN NALLASOPARA AND VASAI AREA. EVEN TODAY THERE IS AN INCIDENT REPORTED NEAR VIDYA VIKASINI SCHOOLKURLA CHILD KIDNAPPERMUMBAIRPF DHANBADWhatsapp
    Read Full Article
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!