জলবায়ু স্ট্রাইকের ফটো ভাইরাল বাবুলের যাদবপুর কান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিক্ষোভ হিসাবে
বুম খুঁজে পেয়েছে ছবিগুলি বিশ্বজুড়ে চলা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে হওয়া প্রতিবাদের।
জলবায়ু ধর্মঘটে বিশ্বের অগনিত জনতার ঢলের ভাইরাল ছবি মিথ্যে দাবি সহ ফেসবুকে শেয়ার করে বলা হচ্ছে দক্ষিন আমেরিকার ইউনাইটেড লেফট সদস্যদের আয়োজিত বাবুল সুপ্রিয়ের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তি প্রদর্শেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ছবি।
পরপর এই তিনিটি ছবি বার্লিন, সিডনি ও হামবার্গে-এ হওয়া জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে হেলদোল না থাকার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভের ছবি।
পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘যেই খবর দালাল মিডিয়া আপনাকে দেখায় না। যাদবপুরের ক্যাম্পাসে বিজেপির গুন্ডা এবং গুণ্ডার সরদার বাবুল সুপ্রিয়র হামলার প্রতিবাদে দক্ষিণ আমেরিকায় বামাদের সংগঠিত প্রতিবাদি মিছিল। রাজ্য ছেড়ে দেশ, এবার বিদেশেও খুলে যাচ্ছে বিজেপির মুখোশ।’
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ১৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যোগ দিতে এলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা বিরোধ প্রদর্শনকালে বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয় যার জেরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাকে উদ্ধার করতে আসেন।
তথ্য যাচাই
বুম নিশ্চিত হয়েছে ছবিগুলি যাদবপুরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে হওয়া মিছিলের ছবি নয়। আমরা বিভার্স সার্চ করে জানতে পারি ছবিগুলি ঘটমান সারা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ছবি যার নাম দেওয়া হয়েছে ক্লাইমেট স্ট্রাইক বা জলবায়ু ধর্মঘট।
একই ছবি ফেসবুক ও টুইটারে আপলোড করেছেন ১৬ বছর বয়সী জলবায়ু পরিবর্তন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
প্রথম ছবিটি সিডনির। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যেখানে সহশ্র মানুষ সমবেত হয়েছিলেন ২০ সেপ্টেম্বর। ইয়াহু নিউজ অস্ট্রেলিয়া ওই একই ছবি অপলোড করে।
দ্বিতীয় জনতার ঢলের ছবিটি হামবার্গের, যেখানে লোকজন ওই একই দিনে সমবেতভাবে অংশ নিয়েছিল।
তৃতীয় ছবিটি বার্লিনে তোলা যার পিছনে সিগেসসইলা (Siegessäule) বা জয় স্তম্ভ দেখা যাচ্ছে। জার্মান ভাষায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বার্তা দেখা যাচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে দেখা যাবে ছবিটি।
থুনবার্গের আহ্বানে উদ্বুদ্ধ হয়ে সহশ্র মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন ক্লাইমেট স্ট্রাইকে সামিল হতে। জনগণ বহুসংখ্যায় সারা বিশ্বের প্রধান প্রধান শহরে ক্লাইমেট স্ট্রাইক-এর প্রতিবাদী জমায়েতে যোগ দিয়েছেন যেমন নিউইয়র্ক, স্টকহোম, মেলবোর্ন, ঢাকা, কলকাতা সহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গায়।