নভজোত সিং সিধুর জনসভার কাটছাঁট করা ভিডিও সাম্প্রদায়িক বার্তা সমেত ভাইরাল হয়েছে
ভিডিওটিতে নভজোত সিং সিধুকে ‘আল্লাহ-হু-আকবর’ বলতে শোনা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘যো বোলে সো নিহাল’ আর ‘ভারত মাতা কি জয়’। কিন্তু সেগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/04/Sidhu-Featured-Boom_Bangla.jpg)
একটি ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে বিহারের কিষাণগঞ্জে এক জনসভায়, কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধু জনতাকে ‘আল্লাহ-হু-আকবর’ স্লোগান দিতে আহ্বান করছেন। ভিডিওটি ফেসবুকে একটি বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে। তাঁর অন্য দুটি স্লোগান, ‘যো বোলে সো নিহাল’ আর ‘ভারত মাতা কি জয়’, ভিডিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ভাইরাল পোস্টটির ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, “এবার কংগ্রেস খোলাখুলিভাবে মানুষকে আল্লাহ-হু-আকবর স্লোগান দিতে বলছে।”
(হিন্দি বয়ানটি এ রকম: अब क्या अब तो कांग्रेस खुलेआम “#अल्लाहहूअकबर” बोलने कह रही!)
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/04/navjotsingsidhu.jpg)
ভিডিওটি এখানে দেখা যাবে, আর তার আর্কাইভ সংস্করণ এখানে ।
ভিডিও ক্লিপটি ১৬ সেকেন্ডের। তাতে ডায়াসে দাঁড়িয়ে সিধুকে ‘আল্লাহ-হু-আকবর’ স্লোগান দিতে শোনা যাচ্ছে। আর জনতা তার পুনরাবৃত্তি করছে। কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমার পরে বলুন, ‘আল্লাহ-হু-আকবর’।” আর জনতা আবার ধ্বনি তোলে, ‘আল্লাহ-হু-আকবর’।
কিন্তু কিষাণগঞ্জে ১২ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ওই জনসভায়, সিধু ‘আল্লাহ-হু-আকবর’ ছাড়াও, ‘যো বোলে সো নিহাল’ আর ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি তোলার আহ্বানও জানান জনতাকে।
কাটছাঁট করা ভিডিওটি অনেকগুলি ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/04/viralfb-700x544.jpg)
তথ্য যাচাই
বুম সিধুর কিষাণগঞ্জ জনসভার ভিডিওটি দেখে। স্পষ্টতই, সভার শেষের দিকে সিধু অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী স্লোগান দেন। সিধুর কিষাণগঞ্জ ভাষণটি নীচে দেখুন।
ডায়াসে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন সিধু। তাঁর বক্তৃতার শেষের দিকে, জনতা তাঁকে মনে করিয়ে দেয় যে, আজানের সময় হয়ে এসেছে। সিধু বলেন, “আজানের সময় হয়ে এলো কি? ঠিক আছে। সবাই দু হাত তুলুন, আর এই স্লোগানগুলি দিতে থাকুন। শিখদের জন্য আর মুসলমানদের জন্য আর তারপর হিন্দুদের জন্য।”
তারপর সিধু আওয়াজ তোলেন, ‘যো বোলে সো নিহাল’। আর জনতা ধ্বনি তোলে ‘সত শ্রী অকাল’। তারপর, কংগ্রেস নেতা স্লোগান দেন, ‘আল্লাহ-হু-আকবর’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’। আর সমবেত জনতা তারই পুনরাবৃত্তি করে।