'বিজয় মালিয়ার প্রত্যাপণে দেরি করুন, বললেন কপিল সিব্বল’: স্যাটায়ার ওয়েবসাইটের খবরও ভাইরাল হল
ফেক নিউজ মহামারীর নতুনতম শিকার হলেন কপিল সিব্বল। মজার খবরের একটি ওয়েবসাইটের নকল খবরকে অনেকেই সত্যি বলে ধরে নিলেন।
একটি মজার খবরের ওয়েবসাইটের একটি লেখায় কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের নামে একটি কল্পিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল। অনেকেই ফেসবুকে খবরটি শেয়ার করে জানালেন, কপিল সিব্বল ইউকে-র আদালতে ভারত থেকে পলাতক বিজয় মালিয়ার তরফে আবেদন করেছেন।
‘‘(বিজয়) মালিয়াকে ভারতে পাঠাবেন না। (আসন্ন) নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে,’’ কল্পিত মন্তব্যটির দাবি।
এক জন ফেসবুকে লেখেন, ‘কংগ্রেস নামক দলটি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে গেল। কপিল সিব্বল ইউকে-র আদালতে আর্জি জানিয়েছেন, মালিয়াকে যেন এখনই ভারতে প্রত্যার্পণ করা না হয়। কপিল সিব্বলের মন্তব্যটি সম্বন্ধে সামান্য গুগ্ল সার্চ করেই আমরা দেখতে পাই, এই মন্তব্যটির উৎসফেকিং নিউজ নামক একটি হাস্যরসাত্মক ওয়েবসাইটের একটি মজার খবরে।
ফেকিং নিউজ-এর ওয়েবসাইটে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে যে এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব ‘খবর’ই কাল্পনিক, এবং সেগুলিকে ‘সংবাদ’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না।
তবে, ফেসবুকে যাঁরা এই ‘খবর’টি শেয়ার করলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই সংবাদসূত্র প্রকাশ করেননি। অনেকেই বিভ্রান্ত হলেন, এবং বিভিন্ন মন্তব্যে নিজেদের মতামত জানালেন।
অনেকে আবার ফেকিং নিউজ-এর আসল নিবন্ধটিই শেয়ার করেছেন, খেয়াল করেননি যে ওয়েবসাইটি মজার খবরের।
ব্রিটেনের হোম সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ যে দিন পলাতক ভূতপূর্ব কোটিপতি বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যার্পণের সিদ্ধান্তে নিজেদের সম্মতির কথা ঘোষণা করলেন, কপিল সিব্বল সংক্রান্ত এই ভুয়ো খবরটি ছড়াল তার পরের দিন। প্রত্যার্পণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য মালিয়াকে ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মালিয়ার প্রত্যার্পণের দাবিতে ব্রিটেনের সম্মতিকে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের একটি বড় জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।