মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দু ধর্ম নিয়ে উক্তি বিভ্রান্তিকর রূপে ভাইরাল
খবরের প্রতিবেদনের শিরোনামের একটি অংশ, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, 'আমরা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি না – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' খুব কৌশলের সঙ্গে ছবি তুলে, ভাইরাল করা হচ্ছে ফেসবুকে।
ফেসবুকে দৈনিক যুগশঙ্খ নামক একটি বাংলা পত্রিকার সম্পর্কে মিথ্যা খবর চাউর হচ্ছে। পত্রিকার একটি প্রথম পৃষ্ঠার শিরোনামের অংশবিশেষ নিয়ে, এমন দেখানো হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু মানুষদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। খবরের প্রতিবেদনের শিরোনামের একটি অংশ, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, 'আমরা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি না – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' খুব কৌশলের সঙ্গে ছবি তুলে, ভাইরাল করা হচ্ছে ফেসবুকে। পোস্টের আর্কাইভ এখানে দেখুন।
পত্রিকাটি আসলে ৭ই ডিসেম্বর, ২০১৭ এর। বুম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পল্লব বসুর সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়াতে যে এরকম খবর প্রচারিত হচ্ছে, সেটা আমার জানা ছিল না। ২০১৭ সালের ৬ই ডিসেম্বর তৃণমূল যুব কংগ্রেস আয়োজিত সংহতি দিবস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, 'আমরা বিজেপি-র হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করি না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য থেকে 'বিজেপি' কথাটা সরিয়ে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো খবর।" পল্লব বসুর মতে, "এরকম ভুল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার আমাদের গণতন্ত্রের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আজকাল বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে আছে। এরকম অপপ্রচার আমাদের পত্রিকার পক্ষে বদনামজনক।"
বুম পত্রিকাটির একটি কপি সংগ্রহ করেছে। ওইদিনের খবরটিতে লেখা আছে যে বিজেপি যখন দাবী করছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র মুসলমানদের তোষণ করেছেন এবং হিন্দুদের উপেক্ষা করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবী করেন যে তিনি বিজেপির হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করেন না। এবং তাঁর দল বিজেপির কাছ থেকে হিন্দু ধর্ম শিখবে না। মমতা বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে ৩১% মুসলমান বসবাস করেন এবং মুসলমান ভাই –বোনদের রক্ষা করাটা তাঁর কর্তব্য। সেটাকে বিজেপি যদি মুসলমান তোষণ বলে প্রচার করে, আমার কিছু বলার নেই।"
খবরটিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে মমতা দাবী করেন যে তিনি মুসলমান ছাড়াও তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের রক্ষা করেন। পশ্চিমবাংলায় ২৯.৩% তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের বাস। আমি তাদের ভালবাসি। যদি সেটাকে তোষণ বলে দাবী করা হয় তাহলে আমি এক হাজার বার করব।
নীচে যুগশঙ্খে প্রকাশিত আসল প্রতিবেদনটি পড়ুন।