BOOM
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক
  • আইন
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Methodology-icon
    Methodology
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফ্যাক্ট চেক-icon
    ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ-icon
    বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক-icon
    ফাস্ট চেক
  • আইন-icon
    আইন
  • Home
  • ফ্যাক্ট চেক
  • মমতা ব্যানার্জি তৃণমূল কর্মীদের...
ফ্যাক্ট চেক

মমতা ব্যানার্জি তৃণমূল কর্মীদের ‘বন্দে মাতরম’ গাইতে নিষেধ করার পর তারা কি উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠেছিল?

ভিডিওটি ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বরের, যে দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার লবিতে হানা দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় l

By - Krutika Kale |
Published -  27 March 2019 9:38 PM IST
  • পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একটি দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘বন্দে মাতরম্’ গাইতে বারণ করলে তারা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে, এই দাবি সহ একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দাবিটি ভুয়ো । ৩.৪৯ মিনিটের ওই ভিডিও টি তে দেখা যাচ্ছে যে মমতা
    ব্যানার্জি তাঁর দলের কর্মীদের কিছু আদেশ দিচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রচুর বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

    এবং প্রচুর ভাংচুর হয়। ভিডিওটি দেখতে, এখানে ক্লিক করুন, এবং তার আর্কাইভ বয়ান দেখতে, এখানে।

    ভিডিওটি ২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বরের, যে দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার লবিতে হানা দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় । সেটা ছিল সিঙ্গুরে টাটা মোটর্সের মোটরগাড়ি কারখানা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়, যখন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মমতা ব্যানার্জি সিঙ্গুরে প্রবেশের চেষ্টা করলে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে, যার প্রতিবাদে দলীয় নেতা-সমর্থকরা বিধানসভা ভবনে হাঙ্গামা বাধিয়ে দেন ।

    ২০০৬ সালের ওই ভিডিওটি— যাতে তৃণমূল সমর্থকদের বিধানসভার লবিতে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে, টেবিল উল্টে, চেয়ার ছুঁড়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে দেখা যাচ্ছে— সোশাল মিডিয়ায় জিইয়ে তোলা হয়েছে এবং ভুল ব্যাখ্যা সহ সেটি শেয়ার হয়ে চলেছে ।

    ২০১৭ সালেও ভিডিওটি একই ব্যাখ্যা দিয়ে ভাইরাল হয়েছিল । এবারও একই ব্যাখ্যা দিয়ে ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াট্স্যাপে সেটি ভাইরাল হচ্ছে ।

    ভিডিওটির সঙ্গে যে ভুয়ো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, সেটি হিন্দিতে অনুবাদও করা হয়েছে । নীচে হোয়াট্স্যাপ বার্তার স্ক্রিনশটে সেটি দেখে নিতে পারেন ।

    তথ্য যাচাই

    ২০০৬ সালের ডিএনএ সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদনে সেদিনের ঘটনার বিশদ বিবরণ দেওয়া আছে ।

    “টিএমসি সুপ্রিমো চিত্কার করে অভিযোগ করতে থাকেন যে, টাটা কোম্পানির মোটরগাড়ি তৈরির কারখানা সিঙ্গুরে তাঁকে ঢুকতে না দিয়ে প্রশাসন ‘অসাংবিধানিক’ কাজ করেছে । হুগলিতেই তাঁর রাস্তা আটকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় । নেত্রীর তুমুল প্রতিবাদে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে দলের সমর্থকরা বিধানসভায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, চেয়ার-টেবিল উল্টে দেয়, ফাইলপত্রও নষ্ট করে দেয় ।”

    দ্য হিন্দু সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই তাণ্ডবের সময় শাসক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেধে যায় এবং হাতাহাতিতে শাসক বামফ্রন্টের ৬ জন বিধায়ক, বিধানসভার দু জন কর্মী এবং দু জন সাংবাদিকও আহত হন । প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।

    ২০১৭ সালের জুলাইয়ে হিন্দি সংবাদ-চ্যানেল আজ-তক ভিডিওটি ভুয়ো বলে নস্যাত্ করে দেয় । (ইউ-টিউবে ভিডিওটির কাউন্টার নম্বর ৪:১০ থেকে দেখুন)



    রতন টাটার স্বপ্নের ছোট গাড়ি প্রকল্প (যা পরবর্তী কালে ‘ন্যানো’ নামে পরিচিত হয়)২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে রূপায়িত হওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকেই তা অভিশপ্ত হয়ে পড়ে । টাটা মোটর্স লিমিটেড ও ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পরিচালিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মধ্যে সম্পাদিত বোঝাপড়ার প্রকল্পটি শেষ পর্যন্ত গুজরাটে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয় কৃষকদের ব্যাপক প্রতিবাদ ও হিংসাত্মক আন্দোলনের ফলে । ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে সিঙ্গুরে মোটরগাড়ি প্রকল্পের জন্য কৃষকদের জমি অধিগ্রহণকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অধিগৃহীত জমি ফিরিয়ে দেবার নির্দেশ দিলে সিঙ্গুর কাণ্ডে যবনিকা পড়ে ।

    Tags

    fake newsFeaturedMamata BanerjeeRUCKUSSOCIAL MEDIATMCTRINAMOOLTrinamool CongressVande Mataram
    Read Full Article
    Claim :   পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একটি দলীয় বৈঠকে কর্মীদের ‘বন্দে মাতরম্’ গাইতে বারণ করলে তারা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে
    Claimed By :  ফেসবুক পেজ
    Fact Check :  FALSE
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!