BOOM

Trending Searches

    BOOM

    Trending News

      • ফ্যাক্ট চেক
      • বিশ্লেষণ
      • ফাস্ট চেক
      • আইন
      • Home-icon
        Home
      • Authors-icon
        Authors
      • Contact Us-icon
        Contact Us
      • Methodology-icon
        Methodology
      • Correction Policy-icon
        Correction Policy
      • ফ্যাক্ট চেক-icon
        ফ্যাক্ট চেক
      • বিশ্লেষণ-icon
        বিশ্লেষণ
      • ফাস্ট চেক-icon
        ফাস্ট চেক
      • আইন-icon
        আইন
      Trending Tags
      TRENDING
      • #Mamata Banerjee
      • #Narendra Modi
      • #Operation Sindoor
      • #Pahalgam Terrorist Attack
      • #Rahul Gandhi
      • Home
      • বিশ্লেষণ
      • আরজি করে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ এখন...
      বিশ্লেষণ

      আরজি করে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ এখন ইনফ্লুয়েন্সারদের ভাইরাল হওয়ার চাবিকাঠি

      ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে কলকাতার চিকিৎসক ধর্ষণের নাট্যরূপের ভিডিও ভাইরাল, যেখানে রূপটান শিল্পী, ডাক্তার, চিত্রশিল্পী এবং এমনকি কোচিং ক্লাসগুলিও অপরাধটিকে এক ট্রেন্ডে পরিণত করেছে।

      By - Nivedita Niranjankumar |
      Published -  26 Aug 2024 7:02 PM IST
    • আরজি করে চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ এখন ইনফ্লুয়েন্সারদের ভাইরাল হওয়ার চাবিকাঠি
      Listen to this Article

      ইউটিউবে ৬৪০০০-এরও বেশি ফলোয়ার্স সহ ২১ বছর বয়সী টুইঙ্কেল গুলিয়া পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়ে গত চার দিনে পাঁচটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিওগুলিতে, গলায় স্টেথোস্কোপ ও ল্যাব কোট পরিহিত গুলিয়া নিজেকে মৃতা চিকিৎসক হিসাবে উপস্থাপন করে। তার সব ভিডিওর একই বার্তা যা সারা দেশের চিকিৎসকদের প্রতিধ্বনিত এক অনুভূতি - যারা অন্যের জীবন বাঁচায় তারাই অসুরক্ষিত।

      আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একদিকে যখন চিকিৎসক সম্প্রদায়ের সমর্থনে কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, অপরদিকে সমাজমাধ্যমে ছেয়ে গেছে এই ঘটনাকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব, ভাইরাল গ্রাফিক্স, ট্রেন্ডিং রিল, ভুয়ো তথ্য যা যৌন নিপীড়নের ভুক্তভোগী সংক্রান্ত আইনের অবাধ লঙ্ঘন করে।

      ৩১ বছরের ওই চিকিৎসককের রাতের ডিউটির পর ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট তাকে আরজি কর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার পরিবার পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘটনার পরবর্তী তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা কলকাতার মানুষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মহিলাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এবং গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ ও মোমবাতি মিছিল আয়োজিত হয় ।

      ইউটিউবার গুলিয়া ডিকোডকে বলেন, "এই ঘটনায় আমার মা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।" দিল্লির তৃতীয় বর্ষের নার্সিং ছাত্রী গুলিয়া বলেন তার বাবা তাকে এই ঘটনা সম্পর্কে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলে তাকে আগের মতই মজাদার ভ্লগ পোস্ট করা শুরু করতে বলেন। "আমার মা হস্তক্ষেপ করে আমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যদি আমি নির্যাতিতা হতাম তাহলে কী তিনি একই কথা বলতেন। তিনি বলেন, মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত মানুষের এই অপরাধ নিয়ে সরব থাকা উচিত।"


      গুলিয়া বলেন তার রিলগুলি একই অনুভূতি প্রকাশ করে। "যদি ১০০০ জন লোক আমার ভিডিওটি দেখে এবং তাদের মধ্যে একজনও যদি এটি নিয়ে চিন্তা করে, তাও যথেষ্ট।"

      গুলিয়ার ভিডিও, যার মধ্যে নির্যাতিতার নাম সহ ঘটনা সম্পর্কিত সমস্ত ট্রেন্ডিং কিওয়ার্ড রয়েছে, ইউটিউব শর্টসে কমপক্ষে এক মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে।

      যৌন নিপীড়নের ভুক্তভোগীদের নাম প্রকাশ ভারতে আইন বিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নির্যাতিতার নাম, তার মৃতদেহের ছবি এবং ঘটনার আগে তার ছবি এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার ডিকোডকে জানায় তারা এই ছবিগুলির প্রচার বন্ধ করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছে। তারা অভিযোগ করেন বেশ কিছু ইনফ্লুয়েন্সার ছবি ও ভিডিও তোলার জন্য তাদের বাড়িতে ভিড় করেছিল।

      বিউটি অ্যান্ড মেক-আপ ইনফ্লুয়েন্সার মৌসুমী কুন্ডু তার পেজ মায়াজমেকওভারে ১৪ আগস্ট, ভারতীয় স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে, একটি রিল আপলোড করেন যেখানে তিনি মৃত ডাক্তারের ছবিতে দেখা আঘাতগুলি পুনরায় মেকআপ ব্যবহার করে তৈরি করেছিলেন; রিলটি বাস্তবিক করার জন্য ডাক্তারের সাদা কোট এবং স্টেথোস্কোপও তিনি ব্যবহার করেন। রিলটিতে ভাইরাল অডিও, লাল স্ট্রোব লাইট এবং বজ্রপাতের শব্দ আবহসংগীত হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।


      ইউটিউব, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে রিলের ক্যাপশন এবং হ্যাশট্যাগগুলিতে নির্যাতিতার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে কুন্ডুর ১১ লক্ষেরও বেশি অনুসরণকারী রয়েছে এবং কলকাতার বিউটি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের বেশ কয়েকটি তালিকায় তিনি স্থান পেয়েছেন।

      যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে কাল্পনিক রূপ দেওয়া এবং নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করার জন্য তাকে অসংবেদনশীল বললে, কুন্ডু তার ক্যাপশনে লেখেন, "কবিরা তাদের কবিতা লেখেন, ঔপন্যাসিকরা উপন্যাস লেখেন, একজন চিত্রশিল্পী প্রতিবাদ করার জন্য আঁকেন! আমি একজন স্রষ্টা, তাই এটি আমার প্রতিবাদের ধরন! তাই এ নিয়ে আলোচনার কিছু নেই! " তিনি আরও বলেন, "এটি শ্যুটিং ও সম্পাদনার সময় আমি ১০০০ বার কেঁদেছি, কিন্তু মূল বিষয় হল সবাই মিলে ন্যায়বিচার চাওয়া, প্রত্যেকটি মহিলার জন্য যেখানে মহিলারা এখনও অসুরক্ষিত! একেই কি আমরা স্বাধীনতা বলি? আমার তো মনে হয় না..."

      কুন্ডু এমন অনেক বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে একজন, যারা মেকআপ ব্যবহার করে যৌন নিপীড়ন এবং নির্যাতিতার অবস্থা পুনরায় তৈরি করেছেন।

      কিছু ইনফ্লুয়েন্সার আবার এক ক্ষুব্ধ ভারতীয় দেবীর দ্বারা নির্যাতিতাকে রক্ষা করার দৃশ্যও তুলে ধরেছেন।

      একই প্রবণতা অনুসরণ করে, শীরিন _ মেকওভারস ১৫ আগস্ট একটি গেট রেডি উইথ মি (GRWM) রিল আপলোড করেন। রিলটিতে প্রথমে এক মহিলাকে মেকআপ করতে দেখা যায় এবং পরে একই মহিলাকে তার মুখে রক্তের দাগ, ক্ষত ও আঘাত সহ দেখা যায় যা মেকআপ ব্যবহার করে তৈরি করা।

      পোস্টটির ক্যাপশনে পীড়িতার নাম ছিল এবং ঘটনাটি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি ষড়যন্ত্রের তত্ব ও ভুয়ো তথ্য ছড়ায় পোস্টটির মাধ্যমে।


      একজন রূপটান শিল্পীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে তিনি মেকআপের সাহায্যে রক্ত ও আঘাত তৈরি করে মৃত চিকিৎসকের মতো অভিনয় করেন। ওই ভিডিওটিকে অনেকেই নির্যাতিতার শেষ মুহূর্ত হিসাবে ভুয়ো দাবি করে। বুম দাবিটিকে যাচাই করে দেখে ভিডিওটি কলকাতার রূপটান শিল্পী জিনাত রহমানের তৈরি।

      ইউটিউবে, তার আসল নাম ব্যবহার করে ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানানো হ্যাশট্যাগের ৪৪০০ ভিডিও আপলোড করে ৩৩০০ টি চ্যানেল। ট্রেন্ড #rgkar, যে হাসপাতালে মৃতা কর্তব্যরত ডাক্তার ছিলেন, তার ১৪০০০ ভিডিও রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে নির্যাতিতার নাম অনুসন্ধান করলে তার ফলাফলে মৃত ডাক্তারের ছবি এবং নাম সহ রিল এবং পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। কিছু ভিডিওতে তার বাড়ির ছবি, তার বাবা-মা এবং তার ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া ছবিও রয়েছে।

      গুগল ট্রেন্ডসে অনুসন্ধান করলে দেখা যায় ৯ আগস্ট, ২০২৪ থেকে ভুক্তভোগীর আসল নাম ইউটিউবে একটি জনপ্রিয় কিওয়ার্ড। তথ্য দেখায় ১৭ অগাস্ট তার নামের অনুসন্ধান সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় এবং ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতেই থাকে। ফলাফলগুলি থেকে লক্ষ্য করা যায় ব্যবহারকারীরা নির্যাতিতার ছবি খুঁজছেন; বিশেষ করে তার মৃতদেহের।


      তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা ইন্টারনেট ইনফ্লুএন্সারদের জন্য ভাইরাল কনটেন্ট তৈরি করার একটি অন্য উপায় হয়ে উঠেছে। কলকাতা পুলিশ নির্যাতিতার নাম প্রকাশ এবং ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর দায়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ২৮০টি নোটিশ পাঠিয়েছে।

      উদাহরণস্বরূপ, নিট প্রস্তুতির পেজে এড-টেক প্ল্যাটফর্ম ফিজিক্সওয়াল্লাহর প্রতিষ্ঠাতা জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ আলখ পাণ্ডের ভিডিওটি ধরা যায়। এই ঘটনা সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করার পরে, তিনি এটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপে যাচাই না করা ভাইরাল দাবিগুলি ছড়িয়ে দেন। ফিজিক্সওয়াল্লাহ এবং তার সাথে যুক্ত পেজগুলির প্রত্যেকটিতেই ৩-৪ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে এবং প্রতিটি ভিডিওতেও এরকমই ভিউ হয়েছে।

      যদিও পান্ডে নির্যাতিতার নাম বা ছবি প্রকাশ করেননি, তার ফ্যান পেজগুলি ভুক্তভোগীর নাম, ছবি ব্যবহার করে এবং ঘটনাটিকে চাঞ্চল্যকর করতে নির্ভয়া ২.০ অভিহিত করে একই ভিডিও পুনরায় প্রকাশ করেছে।


      ডিকোড লক্ষ্য করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে ঘটনাটিকে একটি চাঞ্চল্যকর এবং কাল্পনিক রূপ দেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

      দিল্লির ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম ক্রিয়েটর, _ওয়েসাচিন_ তার রিলে একটি কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়েছেন যেখানে নির্যাতিতা এমন একজন ডাক্তার যিনি তার জীবন বাঁচিয়েছিলেন এবং কীভাবে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার খবর তার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ভিডিওটির দর্শক ৬ লক্ষেরও বেশি এবং হ্যাশট্যাগে ব্যবহৃত হয়েছে নির্যাতিতার নাম।


      তবে শুধুমাত্র ইনফ্লুয়েন্সাররাই নয়, চিকিৎসা জগতের অনেকেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা পোস্ট তৈরি করেছেন। এনআইএমএইচএএনএস ব্যাঙ্গালোরের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে কলকাতার অপরাধের শিকারের ভূমিকায় অন্য এক মহিলাকে নিয়ে একটি বিব্রতকর নাট্যরূপ পোস্ট করেছে যেখানে অপরাধের কাল্পনিক রূপ ছাড়াও যেখানে আবহসঙ্গীতে ধস্তাধস্তি ও চিৎকারের শব্দ যুক্ত করা হয়েছে।

      DISCLAIMER* All characters, events in skit, might resemble true incident. However, it contains contents elaborated for artistic purposes. Following programme might contain depictions which might be discomforting to a few. #JusticeForDoctor #KolkataDoctor #KolkataDoctorDeathCase pic.twitter.com/JWrs6gcZfo

      — RDA, NIMHANS (@RDA_NIMHANS) August 18, 2024

      ভিডিওটিতে মহিলার পরিচয়ের কোনও ইঙ্গিত ছিল না তবে অন্তর্ভুক্ত দাবিত্যাগ অনুযায়ী, "সমস্ত চরিত্র, নাটকের ঘটনাগুলি সত্য ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে পারে। তবে, এতে শৈল্পিক উদ্দেশ্যে বিস্তারিত বিষয়বস্তু রয়েছে।"

      একজন দন্তচিকিৎসক-ইউটিউবার মেঘালি, যিনি একই নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন, এই ঘটনা সম্পর্কিত একটি পোস্ট করেন। রিলটিতে আরজি কর মেডিকেল কলেজের 'স্নাতক অনুষ্ঠানে' একজন কাল্পনিক মহিলা ডাক্তারকে দর্শকদের কাছ থেকে হাততালির মাঝে ডিগ্রি করতে এগিয়ে যেতে দেখা যায় কিন্তু একজোড়া হাত তাকে টেনে নিয়ে বাধা দেয়।

      ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রতীক ওয়াঘ্রে ডিকোডকে বলেন এই ধরনের স্রষ্টাদের বিষয়বস্তু 'গ্রে এরিয়া'-তে পরে যা প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলির পক্ষে তাদের স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুছে ফেলা কঠিন হয়ে পরে। তিনি বলেন, "একমাত্র প্রক্রিয়া হল বিব্রতকর পোস্ট রিপোর্ট করা, অথবা নির্মাতাদের পোস্টগুলি মুছে ফেলতে বললেও কাজ হতে পারে"।

      মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষিত ও নিহত ডাক্তারের নাম, ছবি এবং ভিডিও অপসারণের নির্দেশ দেয়।

      পিটিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, "মৃতদেহের ছবি ও ভিডিও ক্লিপগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে... আমরা নির্দেশ দিচ্ছি মৃতার নাম, ছবি ও ভিডিও ক্লিপিং অবিলম্বে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।"

      ইউটিউবার গুলিয়া জিজ্ঞাসা করেন কর্তৃপক্ষ এবং তদন্তকারীরা আগেই কেন মৃতার ছবি তলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি, তার নাম ফাঁস হয়েছে এবং তার বাবা-মায়ের ঠিকানা ও নাম প্রকাশ হয়ে গিয়েছে।

      একটি নিট কোচিং ক্লাস তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করেছে যেখানে তাদেরই এক ছাত্রীকে নির্যাতিতা হিসাবে দেখানো হয়েছে। ভিডিওটিতে একটি ছুরির লড়াইয়ের দৃশ্যও দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিকোডের সাথে কথা বলার সময় বিহারের প্রতিষ্ঠাতা বলেছিলেন এটি সচেতনতার বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রচেষ্টা ছিল।

      তিনি বলেন, ভিডিওটির চিন্তা তাদের একজন ছাত্রীর। ডিকোডকে তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে মেডিকেলের ছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়েছে।"

      "হ্যাঁ, আমরা তার নাম ব্যবহার করেছি। সবাই তাই করছে, তাহলে কি সবাইকে গ্রেফতার করা হবে?

      *যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা ভারতীয় আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ডিকোড ভাইরাল রিল এবং পোস্টগুলিতে ব্যবহৃত নির্যাতিতার নাম এবং ছবিগুলিকে অস্পষ্ট করে দিয়েছে।*

      Tags

      KolkataKolkata Doctor Rape And MurderWest Bengal PoliceRG Kar Medical College and HospitalRG Kar Rape Case
      Read Full Article
      Next Story
      Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
      Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
      X
      Or, Subscribe to receive latest news via email
      Subscribed Successfully...
      Copy HTMLHTML is copied!
      There's no data to copy!