২০১২ সালে তুরস্কে ধর্নায় প্রশাসনের জলকামান ছড়াল ধর্মীয় রঙে ফ্রান্সের ঘটনা বলে
বুম দেখে ভাইরাল ভিডিওটি ফ্রান্সের ঘটনা নয়, ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় তুরস্কের প্রশাসনের জলকামান।
তুরস্কে (Turkey) ২০১২ সালে রাস্তায় ধর্না (sit-in) প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের উপর পুলিশের জলকামান প্রয়োগের দৃশ্য সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রদায়িক (Communal Spin) ভুয়ো দাবি সহ ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওটি পোস্ট করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে সেটি ফ্রান্সের (France) রাস্তায় মুসলিমদের (Msulims) নামাজ (Namaz) পড়া রুখতে প্রশাসনের পদক্ষেপ।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায় রাস্তার উপরে বসে থাকা ব্যক্তিদের উপর জলকামান ব্যবহার করা হচ্ছে। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছুঁড়তে দেখা যায়।
ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাস্তা দখল করে নামাজীদের তুলে দিচ্ছে রাস্তার থেকে। আশাকরি এবারেও দেখতে পাবো "বয়কট ফ্রান্স" নামের নাটক কিছু দেশ।"
ভিডিওটি দেখুন এখানে।
আরও পড়ুন: না, ভাইরাল ছবি পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত প্রাণী ১৯০ বছরের জোনাথন নয়
তথ্য যাচাই
ভিডিওটির মূল ফ্রেমগুলি রিভার্স সার্চ করে তুরস্কের গণমাধ্যম ইউকসেভোকা নিউজ পোর্টালের (Yüksekova Haber Portalı) ইউটিউব চ্যানেলে ৯ নভেম্বর ২০১২ ভিডিওটি আপলোড হতে দেখে।
'নাগরিক জুম্মা নামাজে গ্যাস বোমা' এই শিরোনামে ভিডিওটি আপলোড করে ইউকসেভোকা।
ওই ভিডিওর বর্ণনাতে লেখা হয়, হাক্কারি প্রদেশের ইউকসেভোকাতে জুম্মার নামাজের দিন এই ঘটনা ঘটে। (মূল তুর্কিতে শিরোনাম: Gaz bombalı 'sivil Cuma namazı - Yüksekova - Gever)
বুম কিওয়ার্জ সার্চ করে দেখে বিষয়টি নিয়ে ৯ নভেম্বর ২০১২ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয় ইউকসেভোকা নিউজ পোর্টালেও।
তুরস্কের গণমাধ্যম হাবের তুর্কের প্রতিবেদন অনুযায়ী হাক্কারি প্রদেশের ইউকসেভোকাতে জেল বন্দিদের অনশনের প্রক্ষিতে নাগরিক প্রতিবাদ স্বরূপ জুম্মা নামাজের আয়োজন করা হয়। জেল বন্দিদের অনশনের সমর্থনে সে সময় টেঙ্গিজ টপেলের রাস্তায় ধর্না প্রদর্শন শুরু করে একদল হাইস্কুল ছাত্রছাত্রী। স্লোগান দিতে শুরু করে তারা। এর পর প্রশাসন গ্যাস বোমা (কাঁদানে গ্যাস) ছোঁড়ে তাদের দিকে। ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান প্রয়োগ করে।
বিষয়টি নিয়ে আরেক তুরস্কের গণমাধ্যম এনসন হাবের প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
আরও পড়ুন: মিথ্যে দাবি সহ ছড়াল সিরিয়ায় ২০১৩ সালের গণহত্যার দৃশ্য