দিল্লির এইমসের প্রতিষ্ঠাতা রাজকুমারী অমৃত কউর বলে ছড়াল অবন্তিকা মেহতার ছবি
লেখিকা অবন্তিকা মেহতা ২০২১ সালে টুইট করে জানান ছবিটি তাঁর একটি ফোটোশ্যুটের—এইমস প্রতিষ্ঠাতা রাজকুমারী অমৃত কউরের নয়।
দিল্লির (Delhi) অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমসের (AIIMS) প্রতিষ্ঠাতা রাজকুমারী (Rajkumari Amrit Kaur) অমৃত কউরের ছবি দাবিতে ছড়াল লেখিকা ও সাংবাদিক অবন্তিকা মেহতার (Avantika Mehta) ছবি সহ ভুয়ো গ্রাফিক (Fake Graphic)।
বুম যাচাই করে দেখে অবন্তিকা মেহতা ২০২১ সালে টুইট করে জানান ছবিটি তাঁর একটি ফোটোশ্যুট, এইমস স্থপতি অমৃত কউরের ছবি নয়।
ফেসবুক ভাইরাল হওয়া গ্রাফিকে এক রমণীর সাদা কালো ছবি ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, "অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট মেডিক্যাল সায়েন্স বা এমস এর স্থাপক রাজকুমারী অমৃত কৌর।" (গ্রাফিকের বানান অপরিবর্তিত)
ফেসবুক পোস্টটি দেখুন এখানে।
বুম দেখে একাধিক ওয়েবসাইটে ছবিটিকে যাচাই না করে এইমস প্রতিষ্ঠাতা রাজকুমারী অমৃত কউরের ছবি বলেই চালানো হয়েছে। দেখুন এখানে ও এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে লেখিকা ও সাংবাদিক অবন্তিকা মেহতার টুইটার অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ১৮ জুন তারিখের একটি টুইট খুঁজে পায়।
অবন্তিকা ভাইরাল ছবি সহ একই দাবির একটি গ্রাফিক সহ টুইটের প্রত্যুত্তরে লেখেন, "শেষ বারের মত, আমি অমৃত কউরের মত দেখতে নই, তিনি আমার মত দেখতে ছিলেন না। এই ছবিটি একটি ফোটোশ্যুটের যা এক বন্ধুর ওয়েবসাইটের জন্য ৫ বছর আগে করেছিলাম এবং যিনিই ছেড়ে থাকুন তিনি তথ্য-যাচাই করেননি"।
রাজকুমারী অমৃত কউর
কপূরথলা রাজপরিবারের কন্যা রাজকুমারী অমৃত কউর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর ভারতে ফেরেন ১৯১৮ সালে। মহাত্মা গাঁধীর কথায় অনুপ্রাণিত হন অমৃত। ১৯৩০ সালে গাঁধীর সচিব হন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়ে জেলে যান তিনি।
পরে স্বাধীন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন কউর। কউরের সভাপতিত্বেই ১৯৫৭ সালের ২৭ মে এইমস প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত গভর্নিং বডির প্রথম বৈঠক বসে। স্বল্প বাজেটে বিশ্বমানের সরকারি হাসপাতাল এইমস প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন কউর। পরে তা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষার এক ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানের রূপ নেয়।
টাইম ম্যাগাজিন "১০০ বরেণ্য মহিলা ১৯৪৭" তালিকায় সম্মান দেন অমৃত কউরকে। ১৯৬৪ সালে ৭৫ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। প্রয়াণ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল দ্য নিউইর্ক টাইমসে।
নিচে এইমস প্রতিষ্ঠার স্বর্ণজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর প্রবন্ধের সঙ্গে প্রকাশিত অমৃত কউরের ছবি ও ভাইরাল হওয়া অবন্তিকা মেহতার ছবির তুলনা করা হল।
বুমের তরফে অবন্তিকা মেহতার সঙ্গে ইমেল মারফত যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁর তরফে প্রত্যুত্তর পেলে প্রতিবেদনটি সংস্করণ করা হবে।