ফ্যাক্ট চেক
Fact Check: কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ হওয়ায় Delhi Police কর্মী কাঁদছেন?
বুম দেখে ক্লিপটি ২০২০ এর, ঝাড়খণ্ডে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সহকারী পুলিশদের সংঘর্ষের পর পুলিশদের একজনকে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।
পুরনো ও আজকের কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) সঙ্গে সম্পর্কহীন এক ভিডিও ক্লিপে একজন পুলিশ কর্মী বলছেন যে, তিনি আর পুলিশ থাকতে চান না। ক্লিপটি এই মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে যে, দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে হাঙ্গামার (Republic Day Violence) সময় কৃষকদের ওপর লাঠিচালনা (Lathicharge) করার পর তাঁরা কাঁদছেন ও অনুতপ্ত বোধ করছেন।
৩১ সেকেন্ডের ক্লিপটিতে এক পুলিশ কর্মীকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলছেন যে, তিনি আর পুলিশের কাজ করতে চান না। তিনি এও বলেন যে, সরকার তাঁদের ওপর লাঠি চালিয়েছে। একজন সাংবাদিক যখন তাঁর কাছে জানতে চান যে, তাঁর দাবি কি। উনি বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁকে তাঁর পদ থেকে মুক্তি দেন।
বুম দেখে, ভাইরাল ক্লিপটি ঝাড়খণ্ডের। সেপ্টেম্বর ২০২০তে, সেখানে রাজ্য পুলিশ ও সহকারী পুলিশ কর্মীদের মধ্যে এক সংঘর্ষের পর সেটি তোলা হয়। সহকারী পুলিশরা তাঁদের চাকরি নিয়মিত করার দাবি করছিলেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে, দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) কৃষক ইউনিয়নগুলিকে (Farmers Union) সিঙ্ঘু (Singhu), টিক্রি (Tikri) ও গাজিপুর (Ghazipur) সীমান্ত থেকে তিনটি ভিন্ন রুটে দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র্যা লি (Tractor Rally) করার অনুমতি দেয়। সেই র্যা লি চলাকালে, কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গলে, পুলিশ লাঠি চালায়। তারই মধ্যে একদল কৃষক, পুলিশের বেষ্টনী ভেঙ্গে লাল কেল্লায় ঢুকে পড়ে ও সেখানে একটি ফ্ল্যাগপোলে শিখদের ধর্মীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়। দিল্লিতে ওই হাঙ্গামার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ক্লিপটি শেয়ার করা হচ্ছে। ওই ঘটনা সম্পর্কে এখানে পড়ুন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে, দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) কৃষক ইউনিয়নগুলিকে (Farmers Union) সিঙ্ঘু (Singhu), টিক্রি (Tikri) ও গাজিপুর (Ghazipur) সীমান্ত থেকে তিনটি ভিন্ন রুটে দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র্যা লি (Tractor Rally) করার অনুমতি দেয়। সেই র্যা লি চলাকালে, কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গলে, পুলিশ লাঠি চালায়। তারই মধ্যে একদল কৃষক, পুলিশের বেষ্টনী ভেঙ্গে লাল কেল্লায় ঢুকে পড়ে ও সেখানে একটি ফ্ল্যাগপোলে শিখদের ধর্মীয় পতাকা লাগিয়ে দেয়। দিল্লিতে ওই হাঙ্গামার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ক্লিপটি শেয়ার করা হচ্ছে। ওই ঘটনা সম্পর্কে এখানে পড়ুন।
ক্লিপটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "কৃষক ভাইদের ওপর লাঠি চালানোর পর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন পুলিশ কর্মীরা।"
দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
টুইটারে ভাইরাল
আমরা দেখি যে, ওই একই ক্লিপ অন্য একটি মিথ্যে দাবি সমেত টুইটারে শেয়ার করা হচ্ছে। তাতে বলা হচ্ছে, দিল্লি পুলিশের ২০০ অফিসার পদত্যাগ করেছেন।
আমরা দেখি যে, ওই একই ক্লিপ অন্য একটি মিথ্যে দাবি সমেত টুইটারে শেয়ার করা হচ্ছে। তাতে বলা হচ্ছে, দিল্লি পুলিশের ২০০ অফিসার পদত্যাগ করেছেন।
দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
ফেসবুকে ভাইরাল
ক্লিপটি ফেসবুকেও শেয়ার করা হচ্ছে। সেখানে পাঞ্জাবিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "আমরা চাকরি চাই ন। সরকার আমাদের কৃষকদের ওপর লাঠি চালিয়েছে।"
আরও পড়ুন:
কৃষি আইনের এর পক্ষে কেজরিওয়াল, কাটছাঁট ক্লিপ ছড়ালেন সম্বিত পাত্র
তথ্য যাচাই
বুম দেখে যে, সেপ্টেম্বর ২০২০তে ঝাড়খণ্ডে সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টররা তাঁদের চাকরি নিয়মিত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। ওই বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে উঠলে, রাজ্য পুলিসের কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তারপরই তোলা হয় ভিডিওটি।
ভাইরাল ক্লিপটির নাম 'দ্য ফলো-আপ'। তাই দিয়ে সার্চ করলে, আমরা সম্পূর্ণ ভিডিওটির সন্ধান পাই। সেটি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০তে ইউটিউব-এ আপলোড করা হয়েছিল। সেটির ক্যাপশনে বলা হয়, "লাঠিচালনার পর এক ক্ষুব্ধ সহকারী পুলিশ। শুনুন, তাঁরা কি বলছেন।"
আসল ভিডিওটিতে ওই সহকারী পুলিশ বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের ওপর লাঠি চালানো হয়। তাঁরা মাইনে বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০তে, টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদনে বলা হয় যে, প্রাক্তন সহকারী পুলিশরা রাঁচি পুলিশের সুরক্ষা বেষ্টনী ভেঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাসভবনের দিকে এগলে, তাঁদের ওপর লাঠি চালানো হয়। তার ফলে, রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মোরহাবাদী মাঠ। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে রাঁচি পুলিশ লাঠি চালায় ও বলপ্রয়োগ করে। তার ফলে, দু'পক্ষেই ১০ জন করে আহত হন।
কৃষক আন্দোলন সংক্রান্ত ভুয়ো খবর বুম আগেও খণ্ডন করেছে। পুরনো ছবি আর ভিডিওকে সাম্প্রতিক বলে চালিয়ে মিথ্যে দাবি করার মধ্যে দিয়ে কৃষক আন্দোলনকে নিশানা করা হয়। ওই মিথ্যে খবরগুলি সম্পর্কে জানতে বুমের থ্রেড দেখুন।
Claim : ক্লিপ দেখায় একজন পুলিশকর্মী কাঁদছেন কেননা সরকার তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ করার জন্য
Claimed By : Facebook Posts
Fact Check : False
Next Story