বিভ্রান্তি সহ ছড়াল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পরিবারের পাকশালার ছবি
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবিটি দ্রৌপদী মুর্মুর ভ্রাতুষ্পুত্রবধু দুলারি টুডুর রান্নাঘরের ছবি।
সোশাল মিডিয়ায় ভারতের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) পারিবারিক রান্নাঘরের (Kitchen) ছবি সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর দাবি সহ তাঁর নিজের বাড়ির রান্নাঘর বলে দাবি করা হচ্ছে।
২৫ জুলাই, ২০২২ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দ্রৌপদীর জন্ম ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার উপারবেদা গ্রামে। তিনিই প্রথম স্বাধীনত্তোর ভারতে জন্মানো রাষ্ট্রপতি। ওড়িশা সরকারের মন্ত্রী ও পরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজ্যপাল হন তিনি। ভাইরাল ছবিটি এই প্রেক্ষিতে ছড়ানো হচ্ছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায় অ্যাসবেস্টস চালের এক পাকশালায় টুলের উপর বসে রয়েছেন এক মহিলা।
ফেসবুক পোস্টটি ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মু মহাশয়ার উড়িষ্যায় তাঁর নিজের বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর।"
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে দেখে ছবিটি সাংবাদিক শীলা ভট্ট টুইট করেন ২১ জুলাই ২০২২।
তিনটি ছবি টুইট করে লেখেন, "দৌপদি মুর্মু সম্ভবত নির্বাচিত হচ্ছেন। ১. তাঁর জন্মস্থান উপেরবেড়া। ২. দ্রৌপদী মুর্মুর পরিবার মাটির বাড়ি সংস্কার করেছে। ৩. তাঁর বাড়ির রান্নাঘর।
বুম লক্ষ্য করে দেখে এই টুইটে বলা নেই যে সেটি দ্রৌপদী মুর্মুর রান্নাঘর। পারিবারের সংস্কার হওয়া রান্নাঘর লেখা হয়েছে টুইটিতে।
বুম রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুর বাড়ি ইংরেজিতে ইউটিউবে কিওয়ার্ড সার্চ করে একাধিক রিপোর্ট খুঁজে পায়।
সাক্ষী টিভির ২১ জুলাইয়ের রিপোর্টে (৪ মিনিট সময়ে) ওই মহিলা তাঁর পরিচয় প্রতিবেদককে জানান তাঁর নাম দুলারি টুডু। দুলালি টুডু তাঁর পরিচয় হিসেবে বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভ্রাতুষ্পুত্রবধু (ভাইপোর স্ত্রী)।
ভাইরাল হওয়া ছবি ও রিপোর্টে দেখানো দুলালি টুডুর ছবির তুলনা করা হল।
দ্রৌপদী মুর্মুর ভ্রাতুষ্পুত্রবধুর পাকশালা
সাক্ষী টিভিতে ২১ জুলাই দেখানো আরেকটি রিপোর্টে ১ মনিট ৫৮ সেকেন্ড সময়ের পর দেখা যায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে থাকা একই পাকশালা।
দুলালি টুডু প্রতিবেদককে আরও একটি একচালা ঘর দেখান। সেখানে একটি কাঠের একচুলা রয়েছে। দুলালি হিন্দিতে (২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময়ে) বলেন, "আগে এখানে রান্না হতো। আমরাও এখানে এখনও রান্না করি।" কাঠুকুটোতে রান্না করা হয় সেখানে, সে কথা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাইপোর স্ত্রী।