২৬৯ জনের চাকরি ফেরাল সুপ্রিম কোর্ট? গ্রাফিক পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর
বুম যাচাই করে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু পুনর্নিয়োগের কথা বলেনি।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গ্রাফিকে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হয়েছে প্রাইমারি টেট (Primary TET) নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের (Supreme Court Order) নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ২৬৯ জনের চাকরি ফেরত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
বুম যাচাই করে দেখে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের চাকরি খারিজের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কিন্তু ২৬৯ জনের পুনর্নিয়োগের কথা উল্লেখ করা নেই।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গ্রাফিকে লেখা হয়েছে, "টেট দুর্নীতি মামালায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা। কারও চাকরি বাতিল হবে না। হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ২৬৯ জনের চাকরি ফেরত দিল সুপ্রিম কোর্ট। মানিক ভট্টাচার্য্যোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই। সিবিআইকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।"
ফেসবুক পোস্টটি দেখুন।
তথ্য যাচাই
বুম ১৮ অক্টোবর ২০২২ প্রকাশিত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিলিপি পড়ে দেখে ২৬৯ জনের চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিটি বিভ্রান্তিকর।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে থাকা ২০ পৃষ্ঠার রায়ের কপিতে ১৪ নম্বরে (১৬ নম্বর পাতায়) কোর্টের পর্যবেক্ষণে লেখা রয়েছে, "একক বিচারপতির বেঞ্চের রায়ে ২৬৯ জনের যে চাকরি বাতিলের কথা বলা হয়েছে তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। হলফনামা ও রিট পিটিশানের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য শোনার মাধ্যমে ওই একক বেঞ্চ রায় দিতে পারে। যদি একক বেঞ্চের বিচারপতি আরও তদন্ত করতে চান তাহলে গঠন হওয়া বিশেষ তদন্তকারী সংস্থাকে বিষয়টি তদন্তভার দিতে পারেন।"
বুম দেখে সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ে ২৬৯ জনের পুনর্নিয়োগ করার কথা বলা নেই। সেই রকম রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিক্রম নাথের বেঞ্চ। (পৃষ্ঠা ১৮-১৯)
সম্পূর্ণ রায়টি পড়ুন এখানে।
২০২২ সালের ১৩ জুন ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি।
এই একই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের বিচার সংক্রান্ত পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া হাই কোর্টের তরফে না মানার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বোর্ড সভাপতির দিক থেকে হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগ খণ্ডন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এই রায়ে অবশ্য মানিক ভট্টাচার্যের পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া নেই। (পৃষ্ঠা ১৯)
সর্বোচ্চ আদালত সিবিআইকে তদন্তে চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় এই রায়ে। তবে সিবিআইয়ের গ্রেফতারি সংক্রান্ত রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। সিবিআইয়ের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু সুপ্রিম কোর্টে এব্যাপারে সাওয়াল করেন।
মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্তে ইডি ১১ অক্টোবর ২০২২ গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিয়ে লাইভ ল, দ্য টেলিগ্রাফ ও আন্দন্দবাজারের প্রতিবেদন পড়ুন এখানে, এখানে ও এখানে।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের ভিড় ট্রেনকে রাহুল গাঁধী বললেন উত্তরপ্রদেশের