চিনে অভ্যুত্থানের কৌতুক "টুইটার থ্রেড" নিয়ে ব্রেকিং খবর রিপাবলিক ভারতে
জার্মান গণমাধ্যম ডেয়া স্পিগালের সংবাদিক একাধিক টইটে নিশ্চিত করেছেন ওই "টুইটার থ্রেড" তিনি ব্যঙ্গ করে পোস্ট করেছেন।
জার্মান (German) গণমাধ্যম ডেয়া স্পিগাল (Der Spiegel)-এর বেজিং (Beijing) সংবাদদাতা জেওর্গ ফাহরিয়ন (Georg Fahrion) বেজিংয়ের কয়েকটি ছবি সমেত একটি ব্যঙ্গাত্মক টুইটার থ্রেড চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর (President Xi Jingping) বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের গুজব (coup rumour) সম্পর্কে ঠাট্টা করার জন্য টুইট করেন। কিন্তু, হিন্দি সংবাদ চ্যানেল রিপাবলিক ভারত (Republic Bharat) তাঁর করা টুইট ও ছবিগুলি ব্যবহার করে, এবং তাদের ব্রেকিং নিউজ ও এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে তারা দাবি করে ওই টুইট ও ছবিগুলি অভ্যুত্থানের গুজবকে সমর্থন করছে।
চ্যানেলটি ইউটিউব ও ফেসবুকে ১০ মিনিটের একটি প্রতিবেদন পোস্ট করে সেখানে ফাহরিয়ন-এর টুইট করা ছবিগুলি দেখিয়ে দাবি করে, সেনাবাহিনীর বিশিষ্ট বাহিনী শি জিংপিং-এর বাসভবন শিনহুয়া গেটে মোতায়েন করা হচ্ছে।
চিন কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে, শির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য জনসুরক্ষার উপমন্ত্রী সান লিজুন-এর মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে দু'বছরের অব্যাহতিও দেওয়া হয় ওই আদেশে। তারপরই চিনে অভ্যুত্থান ও শি জিংপিং গৃহবন্দি হওয়ার গুজব ছড়াতে থাকে।
আরও পড়ুন: জওহরলাল নেহরু কি "লন্ডনের নাগরিক" ছিলেন?
একাধিক উত্তরে ফাহরিয়ন নিশ্চিত করেন যে, ওই থ্রেডটি তিনি ব্যঙ্গ করে টুইট করেছিলেন। তাঁর দাবি অভ্যূত্থান হয়নি, এবং গুজবগুলি সম্পর্কে ব্যঙ্গ করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।
ভারতীয় লেখক, অদিতি মেহরোত্রা, রিপাবলিক ভারত-এর করা পোস্টটির লিঙ্ক সমেত ফাহরিয়ন-এর থ্রেডটির উত্তরে লেখেন, "এই মুহূর্তে, ভারতের একটি প্রধান সংবাদ চ্যানেল আপনার ছবিগুলি ব্রেকিং নিউজ হিসেবে লাইভ দেখাচ্ছে। তারা "পদস্থ বাহিনী"-এর মতো শব্দ ব্যবহার করছে। আপনার বিদ্রুপ তারা ধরতে পারেনি (বা ইচ্ছে করে না বোঝার ভান করছে)।" উত্তরে ফারহিয়ন লেখেন, "সত্যি?? ওয়াও।"
অন্য একটি উত্তরে ফাহরিয়ন লেখেন, "...যে অভ্যুত্থান হয়নি, সে সম্পর্কে গুজব নিয়ে আমি ব্যঙ্গ করেছি।"
তাঁর ব্যঙ্গাত্মক থ্রেডটি কী ভাবে রিপাবলিক ভারত ব্যবহার করছে তাই নিয়ে আরও অনেকে মন্তব্য করলে, ফাহরিয়ন শেষমেশ টুইট করেন, "যেহেতু একটি ভারতীয় টিভি চ্যানেল থ্রেডটি ব্যবহার করে রিপোর্ট করছে, সেহেতু আমি বলতে চাই, দু'টি জিনিস সীমাহীন – এক মহাবিশ্ব আর মানুষের নির্বুদ্ধিতা।"
১০ মিনিটের দৃশ্যটি রিপাবলিক ভারত ফেসবুক ও ইউটিউবে পোস্ট করে সেখানে সঞ্চালক ফাহরিয়ন-এর পোস্ট-করা ছবিগুলি ব্যবহার করে।
তাঁর পোস্টে, শিনহুয়া গেটে মোতায়েন গুটি কয়েক রক্ষীর ছবি সম্পর্কে উনি ব্যঙ্গ করে লেখেন 'এলিট ফোর্স' (পদস্থ বাহিনী)।
বুম রিপাবলিক ভারত-এ প্রচারিত ভুল খবর আগেও কয়েকবার ধরিয়ে দেয়। তেমনই কয়েকটি তথ্য-যাচাইয়ের নমুনা দেখুন এখানে ও এখানে।
আরও পড়ুন: না, ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে খালিজ টাইমসের রিপোর্ট নয়