তেলঙ্গানায় পুলিশের গাড়িতে হামলা তামিলনাড়ুতে পরিযায়ীদের আক্রমণ বলে ছড়াল
বুম যাচাই করে ভাইরাল ভিডিওটি তেলঙ্গানার হানামকোন্ডার ভিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে তামিলনাড়ুর কোনও যোগ নেই।
তেলঙ্গানায় (Telangana) হিন্দু ধর্ম বিরোধী ভাষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্যদের পুলিশের গাড়িতে আক্রমণের ঘটনা ভুয়ো দাবিতে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ঘটনা বলে ছড়ানো হচ্ছে।
বুম যাচাই করে ভাইরাল ভিডিওটি তেলঙ্গানার হানামকোন্ডার ভিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে তামিলনাড়ুর কোনও যোগ নেই।
দ্য হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে পরিযায়ী বিহারের শ্রমিকদের আক্রমণ সংক্রান্ত ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। আগের সপ্তাহে তামিলনাড়ুতে পরিযায়ী বিহারের শ্রমিকদের আক্রমণ করা হচ্ছে দাবিতে একাধিক ভুয়ো ও সম্পর্কহীন ভিডিও ছড়ানো হয়েছিল। পরে, তামিলনাড়ুর পুলিশ এই ধরণের ঘটনা অস্বীকার করে।
ফেসবুক পোস্টে ছড়ানো ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায় একদল জনতা একটি পুলিশের গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, “সবাই দেখো তামিলনাড়ুতে কি হচ্ছে পারলে ভিডিওটাকে শেয়ার করে দাও”
ফেসবুক পোস্টটি দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখে পুলিশের গাড়িতে 'ওয়ারঙ্গল' কমিশনারেট লেখা রয়েছে। ওয়ারঙ্গল তেলঙ্গানাতে অবস্থিত, তামিলনাড়ুতে নয়।
বুম রিভার্স সার্চ করে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ফোর টিভি নিউজ চ্যানেলে ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওটিকে আপলোড হতে দেখে। ওই ভিডিওটির শিরোনাম, “তেলঙ্গানার হানামকোন্ডাতে পুলিশের গাড়িতে বাইরি নরেশ আক্রমণ”
বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে এই ব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদন খুঁজে পায়। ডেকান ক্রনিক্যালে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণপন্থী জনতা ৪১ বছর বয়সী বাইরি নরেশকে হানামকোন্ডারা গোপালাপূরমে পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে। বাইরি নরেশকে হিন্দু দেব-দেবী সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্যের জন্য আগে গ্রেফতারও করা হয়।
বাইরি নরেশ আর্রশ ল কলেজে সম্প্রতি ভর্তি হয়েছে। কলেজের নবীনবরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এলে হামলার আশঙ্কা করে তার আইনজীবী পুলিশকে খবর দেয়।
অভিযোগ, পরে পুলিশের গাড়িতে নরেশকে নিয়ে যাওয়ার সময় আরএসএস ও বজরং দলের সদস্যরা গাড়িটিকে আক্রমণ করে। পুলিশ সংখ্যায় কম থাকায় গাড়ির ভেতরে থাকা নরেশকে আক্রমণ করতে সফল হয়। নরেশ সামান্য আঘাত পায় তাতে। পরে দ্রুত তাকে কাকাটিয়া ইউনিভার্সিটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।