ব্রিটেনের ভারতকে দেওয়া স্বাধীনতার প্রকার নিয়ে ফের ভুয়ো দাবি ছড়াল
বুম দেখে ভাইরাল বার্তায় ১৯৪৭ পরবর্তী ভারতের স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে ভুয়ো প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
Claim
সম্প্রতি ক্ষমতা হস্তান্তরের চুক্তির উল্লেখ করে ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ভারতের স্বাধীনতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে পুরনো এক বার্তা ফের ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ওই বার্তায় দাবি করা হয়,কংগ্রেস স্বাধীনতার পরেও দেশবাসীর কাছে এই চুক্তি বা হস্তান্তর সংক্রান্ত আইন গোপন রেখেছিল। বার্তাটিতে বলা হয়, ভারতকে নাকি প্রতি বছর ব্রিটেনে ১০ বিলিয়ন টাকা পেনশন দিতে হয় ও ৩০ হাজার টন করে গোমাংস পাঠাতে হয়। এই চুক্তিগুলি বদলানোর জন্য নরেন্দ্র মোদীকে পুনরায় লোকসভা নির্বাচনে জিতিয়ে আনার অনুরোধ করা হয় ওই বার্তায়।
FactCheck
এবছরের এপ্রিল মাসে বুম ভাইরাল এই বার্তার সত্যতা যাচাই করে। আমরা ব্রিটেনের সাথে ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ক কোনও চুক্তির হদিশ পাইনি। এছাড়াও আমরা দেখতে পাই, ভারত ১৯৪৭ সালের ‘ভারত স্বাধীনতা আইন’ অনুযায়ী স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের তৈরি এই আইনের সপ্তম অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা রয়েছে, নতুন এই দুই রাষ্ট্রে (ভারত এবং পাকিস্তান) ব্রিটিশদের কোনও দায়িত্ব নেই এবং এই দেশগুলির পার্লামেন্ট নিজস্ব আইন প্রণয়ন করার পূর্ণ অধিকারী। তাছাড়া, ভারত ব্রিটিশের রাজপরিবারকে কোনও পেনশন দেয় বলে কোনও তথ্যের হদিশ বুম পায়নি। উল্টে বরং ভারতই এখনও ব্রিটেনের কাছে নানা ধরণের আর্থিক অনুদান পেয়ে এসেছে। গোমাংসের রফতানি ভারতীয় আইনে নিষিদ্ধ তাই এই বার্তায় উল্লেখিত দাবিটিও ভুয়ো। যদিও বুম দেখে মোষের মাংস রফতানির ওপর কোনো নিষিদ্ধতা নেই এবং ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে প্রচুর টন মোষের মাংসের রফতানি করে। ভাইরাল বার্তায় ভারত ও অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশগুলিকে এখনও ব্রিটেনের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়। কিন্তু বুম দেখে এই দেশগুলির নাগরিকরানিজেদের দেশের স্বাধীন নাগরিক, ব্রিটেনের নয়।