ফ্যাক্ট চেক
কর্নাটকে অপহরণের ঘটনার ভিডিও উত্তরপ্রদেশের বলে ভাইরাল হয়েছে
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত মেয়েকে চারজনে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের ঘটনার পরে কোলার, কর্নাটকের এই ভিডিওটি ছড়ানো হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, কর্নাটকে প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলাকে অপহরণ করার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আবার নতুন করে শেয়ার করা হচ্ছে এই বলে যে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
ভাইরাল ভিডিওটিতে সিসিটিভি ফুটেজের একটি ফোন-রেকর্ডিংয়ে দেখা যাচ্ছে দু'জন মহিলা দিনের বেলা একটি কর্মব্যস্ত রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। পর মুহূর্তেই দেখা যায়, একজন মহিলাকে একটি লোক জোর করে একটি চলন্ত গাড়িতে তুলে ফেলে। তখন তাকে বাধা দিতে চেষ্টা করে অন্য মহিলাটি।
ভিডিওটি ফেসবুক ও টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এবং উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে এক দলিত মেয়েকে গণধর্ষণ, অত্যাচার ও খুন করার অভিযোগ উঠেছে। যার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে চার ব্যক্তিকে। ২৫ সেপ্টেম্বর, ওই নির্যাতিতা দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যান। ওই মেয়েটির ওপর আক্রমণ ও পরে, ৩০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তার দেহ পুড়িয়ে দিলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ওই ফুটেজ সহ একাধিক পোস্ট আর টুইটের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "উত্তরপ্রদেশে প্রকাশ্য দিবালোকে মহিলাদের অপহরণ করা হচ্ছে। অন্ধ ভক্তরা এখনও চোখে কাপড় বেঁধে আছে।"
(আসল হিন্দি ক্যাপশানটি এই রকম: उत्तर प्रदेश में दिनदहाड़े बेटियों को उठाया जा रहा है अंधभक्त अभी भी आंखों पर पट्टी चढ़ाए हैं #मीडिया_योगी_का_इस्तीफा_माँगो)
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সমালোচনা করে বলছে সেখানে মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা নেই।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম নিশ্চিত হয় যে, ভিডিওটি কর্নাটকের, কারণ তাতে লোকজনকে কন্নড় ভাষায় কথা বলতে শোনা যায়। কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলে কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন সামনে আসে। তাতে বলা হয়, ঘটনাটি অগস্ট মাসে কর্নাটকের কোলার জেলায় ঘটেছিল। 'দ্য নিউজ মিনিট'-এর প্রতিবেদনে সিসিটিভি ফুটেজটির স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হয়। সেটির শিরোনামে বলা হয়, "বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়, প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলাকে অপহরণ করল একটি লোক, দেখা যাচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজে।"
কোলারের পুলিশ সুপার কার্তিক রেড্ডি দ্য নিউজ মিনিটকে বলেন যে, মহিলাকে অপহরণ করে টুমাকুরু জেলার একটি লজে রাখা হয়। সেখানে অপহরণকারী বিয়ে করতে রাজি করানর চেষ্টা করে মহিলাকে। কিন্তু সেই মহিলা কোথায় আছেন, সে কথা তাঁর পরিবারকে জানাতে সক্ষম হন।
সংবাদ মাধ্যমে ওই ভিডিও ও ঘটনাটি সম্পর্কে লেখা হয়। পড়ুন এখানে।
Claim : ভিডিও দেখায় উত্তরপ্রদেশে প্রকাশ্য দিবালোকে এক নারীর অপহরণের দৃশ্য
Claimed By : Facebook &Twitter Users
Fact Check : False
Next Story