অভিযুক্ত বিশপ ফ্রাংকো মুলাক্কালের মুখে ধর্ষণ নিয়ে ভুয়ো উদ্ধৃতি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে
ছবিটি তৈরি হয়েছে একটি ওয়েবসাইটে, যা সংবাদ-বুলেটিন নকল করে স্ক্রিনশট তৈরি করে।
একটি বানানো নিউজ বুলেটিনের স্ক্রিনশটে ধর্ষণে অভিযুক্ত বিশপ ফ্রাংকো মুলাক্কল-এর একটি উদ্ধৃতি জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে।
ছবিতে জলন্ধরের রোমান ক্যাথলিক চার্চের বিশপ মুলাক্কালকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে এবং ধর্ষণ নিয়ে একটি ভুয়ো উদ্ধৃতিও তাঁর মুখে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উদ্ধৃতিটি একজন খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে এক বিশপের ধর্ষণ করার ঘটনার সূত্রে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন এটা খ্রিস্ট ধর্মের সঙ্গে যুক্ত একটা পবিত্র ধর্মীয় প্রথা যা চিত্তশুদ্ধি ও আলোকপ্রাপ্তি ঘটায়।
ছবিতে মুলাক্কালের নামে একটা মিথ্যে উদ্ধৃতিও বসানো হয়েছে, “সন্ন্যাসিনী ও আমার মধ্যে যা কিছুই ঘটেছে, তাকে মোটেই ধর্ষণ বলা যাবে না। বরং ওটা ছিল চিত্তশুদ্ধি ও আলোকপ্রাপ্তির জন্য এক পবিত্র প্রথার পালন, যার পরে যিশুর চমকপ্রদ অস্তিত্ব ওই কাজের শেষে অনুভব করা যায়।”
কেরালার একটি আদালত মুলাক্কালকে তলব করেছে ১১ নভেম্বর একটি বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করর জন্য। ভারতে রোমান ক্যাথলিক চার্চের এক বরিষ্ঠ বিশপ মুলাক্কালকে গত বছর গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে এক সন্ন্যাসিনী অভিযোগ আনেন ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাকে কুরাভিলাঙ্গদ কনভেন্টে বারংবার ধর্ষণ করার। মুলাক্কাল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভাইরাল ভুয়ো উদ্ধৃতি বারবার তুলে আনা হচ্ছে
উদ্ধৃতিটি ২০১৮ সালেই ভাইরাল হয়, যখন মধুপূর্ণিমা কিশোয়ার সহ একাধিক ব্যক্তির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সেটি টুইট করা হয়।
দ্য আনপেড টাইমস নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক অ্যাকাউন্টও এটি টুইট করে।
তথ্য যাচাই
বুম এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পেরেছে যে, বিশপের মুখে বসানো উদ্ধৃতিটি বানানো l কেননা ভাইরাল হওয়া ছবিটির উপর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ব্রেকইয়োরওননিউজ.কম-এর একটি জলছাপ।
এই ওয়েবসাইটটি ভুয়ো খবর তৈরি করার। যে-কেউ এখানে যা-খুশি লিখে তাকে সংবাদ-বুলেটিনের চেহারা দিতে পারে। ওয়েবসাইটটিতে শিরোনাম থেকে শুরু করে ছবি, টিকার ইত্যাদি রকমারি উপকরণ মজুত রয়েছে, যা দিয়ে যে-কেউ নিজের পছন্দমতো বুলেটিন বানিয়ে ফেলতে পারে। ওয়েবসাইটটির ড্যাশবোর্ডের একটি স্ক্রিনশট নীচে দেওয়া হলো।