পরিবারের সকলের অত্মহত্যার ২০১৭ সালের ছবিকে লকডাউনের সঙ্গে জোড়া হচ্ছে
বুম যোধপুর এইমসের এক ফরেনসিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছে যিনি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অপরাধস্থলে ২০১৭ সালে ছবিটি তুলেছিলেন।
Claim
রাজস্থানের যোধপুরে চারজনের একসঙ্গে আত্মহত্যার মর্মান্তিক ছবি লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে শেয়ার করা হচ্ছে। ছবিতে দুটি বাচ্চা সহ পরিবারের চারজনের দেহ তাদের বাড়িতে একটা রড থেকে ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। কোভিড-১৯ লকডাউন চলাকালীন পর্যাপ্ত সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় ওই পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যা করেছে, এই দাবি সহ ছবিটি ফিরে এসেছে। ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “এই মর্মান্তিক ঘটনা সরকারি ত্রাণের আসল রূপ দেখিয়ে দিচ্ছে। খবরটি খুব শীঘ্রই মিডিয়ায় বেরোবে।” (মূল হিন্দিতে ক্যাপশন: सरकार की राहत की पोल खोलती हुई एक हृदयविदारक घटना। इस खबर की पुष्टि जल्द ही समाचारों से की जाएगी।) এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটি ২১,০০০ জনের বেশি শেয়ার করেছে।
FactCheck
বুম দেখে ছবিটি যোধপুরের। সেখানে চরম দরিদ্রতার কারণে, চারজনের একটি পরিবার ২০১৭ সালে আত্মহত্যা করে। ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, আসল ছবিটি মিশরের একটি ফরেনসিক বিষয়ক জার্নালে প্রথম আপলোড করা হয়েছিল। ওই কেস রিপোর্টের একজন সহ-লেখক, ডঃ নবনীত আতেরিয়ার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। উনি নিশ্চিত করে বলেন যে, পুলিশের উপস্থিতিতে যোধপুরের ভাকরি গ্রামে ছবিটি তোলা হয়। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে ছিল। চরম দারিদ্র ওই পরিবারকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।