রাজস্থানে পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও সাস্প্রদায়িক দাবিতে জিইয়ে উঠল
বুম আগে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছিল ওই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও সম্পর্ক নেই।
Claim
একটি ভিডিওতে উত্তেজিত জনতাকে দু’জন পুলিশকে আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি এই দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে যে, উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে, মুসলমান সম্প্রদায়ের কিছু লোক দু’জন পুলিশ কর্মীর ওপর চড়াও হন। তাঁদের জরিমানা করা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ক্যাপশনে বলা হয়, “বরেলি সিভিল লাইন্স নিউজ: পুলিশ তাঁদের জরিমানা করলে, মুসলমানদের একটি দল, পুলিশকে আক্রমণ করে। আগামী দিনে দেশের অবস্থা কেমন দাঁড়াবে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই ভিডিওটিতে। কে এই দেশ চালাবে, এবং আমাদের সকলের ভবিষ্যৎই বা কেমন দাঁড়াবে! অস্বস্তিকর সত্যটি হল এই যে, দেশের আভ্যন্তরীণ বিপদ বাইরের হুমকির চেয়ে বেশি...” (হিন্দিতে লেখা ক্যাপশন: बरेली सिविल लाईन्स न्यूज़ पुलिस द्वारा चालान काटने पर मुस्लिम लोगों ने उनकी पिटाई की जो कानून को चुनौती है! यह वीडियो बताता है की आगे हिन्दुस्तान मे क्या क्या होगा | कौन देश चलायेगा! और सबका भविष्य क्या होगा ! कड़वा सच यह है कि देश को बाहर से ज्यादा अन्दर से बहुत ज्यादा खतरा है!...)
FactCheck
বুম দেখে, আসলে ঘটনাটি ফেব্রুয়ারি ২০২১’এ রাজস্থানের জুরহরা শহরে ঘটেছিল। এবং তার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও সম্পর্ক ছিল না। ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, ২৫ মার্চ, ২০২১’এ, ইটিভি ভারত’এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দেখতে পাই আমরা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজস্থানের জনবহুল জুরহরা শহরে হরিয়ানা পুলিশের একটি গাড়ি এক স্থানীয় ব্যক্তিকে মৃদু ধাক্কা দিলে, ওই ঘটনা ঘটে। একটি তদন্তের কাজে হরিয়ানা পুলিশের কর্মীরা জুরহরা থানায় যাচ্ছিলেন। বুম ভরতপুরের পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র বিশনোই’র সঙ্গে যোগাযোগ করে। উনি জানান, ঘটনাটি ফেব্রুযারি ২০২১’এ ঘটেছিল। এবং সাম্প্রদায়িকতার দাবিটি উড়িয়ে দেন। একই দাবি সমেত ভিডিওটি যখন মে ২০২১’এ শেয়ার করা হচ্ছিল, তখনও বুম সেটিকে খণ্ডন করে।