না, অক্সফোর্ড আভিধানে নেই ইন্ডিয়া মানে 'ইসলাম নে দি ইস মুল্ক কি আজাদি'
বুম যাচাই করে দেখে অক্সফোর্ড আভিধানে নেই, 'ইসলাম নে দি ইস মুল্ক কি আজাদি'। ইন্ডিয়া নামের উৎস 'ইন্ডাস' নদীর নাম থেকে।
Claim
সোশাল মিডিয়ায় পোস্টে ভুয়ো দাবি করা হয়েছে অক্সফোর্ড ইংরেজি আভিধানে ‘ইন্ডিয়া’ মানে লেখা আছে “ইসলাম নে দি ইস মুলক কো আজাদী”। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, “Oxford Dictionary এর ভাষ্যানুযায়ী.....INDIA এর মিনিং নিম্নরূপ দেওয়া হল: I, ইসলাম, N, নে, D, দি। I, ইস মূলক কো। A, আজাদী। অর্থাৎ "ইসলাম নে দি ইস মুলক কো আজাদী" (ইসলামই এই দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে।) এই হলো India এর মিনিং। ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরাই ইন্ডিয়া স্বাধীন করেছে।” (সংক্ষেপিত)
FactCheck
বুম যাচাই করে দেখে “ইসলাম নে দি ইস মুলক কো আজাদী” ইন্ডিয়ার মানে অক্সফোর্ড আভিধানে লেখা নেই। বুম অক্সফোর্ড আভিধানের আধুনা সাইট লেক্সিকোতে দেখে ভারতের (ইন্ডিয়া) উৎস হিসাবে লেখা আছে, ‘‘গ্রিক থেকে লাতিনে ইন্দুস নদীর ‘ইন্দুস’ থেকে ইন্ডিয়া, পারস্য ভাষায় ‘হিন্দ’ সংস্কৃত ‘সিন্ধু’ নদী থেকে, বিশেষত ‘দ্য ইন্দুস’ ও ইন্দুস তীরবর্তী অঞ্চল। গ্রিক ও পারসিক উভয় ভাষাতে ইন্দুস পূর্ব দিকের দেশ। হিন্দি ও হিন্দুর তুলনার সঙ্গে।’’ একই ভুয়ো বার্তা ২০১৯ সালেও ভাইরাল হয়েছিল। সেসময় বুমের তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা নূপুর দাশগুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বুমকে বলেন, “নবম শতকে বাগদাদের বিখ্যাত চিকিৎসক- পণ্ডিত রব্বান আল-তাবারি, অল-রাজী এবং ইবন সেনা তাঁদের রচনায় ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানের কথা লিখতে গিয়ে ‘হিন্দ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।”