পাকিস্তানে নেক্রফিলিয়া দাবিতে ফের ছড়াল হায়দরাবাদে তালাবন্ধ কবরের ছবি
বুম যাচাই করে দেখে ছবিটি ভারতের হায়দরাবাদের এক মসজিদের। কবর বেদখল রুখতে তাতে তালা দেওয়া হয়েছিল।
Claim
ভুয়ো দাবিতে তালাবদ্ধ এক কবরের পুরোনো ছবি সম্প্রতি ফের ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাকিস্তানের দৃশ্য দাবিতে ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হয় নেক্রোফিলিয়া রুখতে এক মহিলার মৃত্যুর পরে সেদেশে তার তার বাবা ও মা মেয়ের কবরে তালা দিয়ে দেন। ভাইরাল সেই গ্রাফিকে তালাবন্ধ কবরের ছবিটির উল্লেখ করে লেখা হয়, "মরনেও ছাড় নেই! ধর্ষণ রুখতে কবরে তালা পাকিস্তানে। মৃত্যুর পরেও পাকিস্তানের মেয়েদের রেহাই নেই। কবর থেকে তুলে যৌন অত্যাচার করা হচ্ছে লাশের সঙ্গে। আতঙ্কিত বাবা মা তাদের মৃত মেয়েদের ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা করতে কবরের চারপাশে লোহার গারদ তৈরি করে তালা দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। শান্তির ধর্ম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান তাই কবরেও ভালোবাসা উপচে পড়ছে....।"
FactCheck
বুম এর আগে এবছরের মে মাসে ছবিটি একই দাবিতে ভাইরাল হলে তার তথ্য যাচাই করে। আমরা সেসময় একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর এক পোস্ট থেকে জানতে পারি ছবিটি ভারতের হায়দরাবাদের। আরেকটি পোস্টে বলা হয় ছবিটি হায়দরাবাদের দরাব জঙ কলোনিতে সালার-এ-মুল্ক নামের মসজিদের বলে উল্লেখ করা হয়। আমরা এরপর গুগল ম্যাপ থেকে এই জায়গাটির খোঁজ করায় দেখতে পাই সেখানে তালাবদ্ধ এই কবরটি উপস্থিত রছে। বুম দরাব জঙ কলোনির এক স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলে কবরটি মসজিদ-এ-সালার মুল্ক-এর সংলগ্ন বলে নিশ্চিত হয়। তিনি আমাদের অনুরোধে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানটি পরিদর্শন করে সেখানকার কেয়ারটেকারের সাথে দাঁড়িয়ে তার ছবি তুলেও পাঠান। স্থানীয় সেই বাসিন্দা কবরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কবর দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টিরই উল্লেখ করেন। ওই কবরস্থানের কেয়ারটেকারকে নেক্রোফিলিয়ার দাবির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কবর খুঁড়ে মৃত মহিলাদের শব ধর্ষণের পৈশাচিক ঘটনা তার জানা নেই বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন।