বিহারের ভিডিও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলী গুন্ডার বিজেপি কর্মীকে খুন বলে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুর জেলার গোরাধি থানার পশ্চিম তোলা গ্রামের। এবছরের ১৬ এপ্রিল পারিবারিক কারনে তার বাবা ও ছোটভাই মিলে তাকে কুপিয়ে খুন করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ব্যক্তিকে খুন করার ভিডিওকে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে সেটি পশ্চিমবঙ্গের। এবং বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা দিয়ে আক্রমনের। ২৬ এপ্রিল ২০১৯, থেকে ৪৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি দাবানলের মতো বিভন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
পোস্টটিতে ক্যাপশন করা হয়েছে, “মমতার গুন্ডারা প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করছে বিজেপি কর্মীদের। দয়া করে কিছু করুন রাষ্ট্রপতি এবং মোদিজি।”
ট্যুইটটি এখানে আর্কাইভ করা আছে। নীচে ভিডিওটি দেখা যাবে।
সতর্কতা: ভিডিওটি ভীষন হিংসাত্মক
অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ওই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে চিহ্নিত করাতে না পারলেও। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী কল্যান চৌবে তার ট্যুইটে ওই আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাগর রায় হিসাবে চিহ্নিত করেন। তিনি ওই ট্যুইটে ক্যাপশন লিখেছিলেন, “টিএমসি গুন্ডারা পশ্চিমবঙ্গের কালিগ্রাম গ্রামের বিজেপি কর্মী সাগর রায়কে পাশবিকভাবে আক্রমন করেছিল। কারন রায় তৃণমূলের বুথ দখলের প্রচেষ্টাকে রুখেছিল বলে খবর।” পরে ওই ট্যুইট তিনি ডিলিট করে দেন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার ভোট চলাকালীন উত্তর মালদায় সাগর রায় নামে এক বিজেপি কর্মীকে পেটানো করা হয়।
তথ্য যাচাইত
বেশ কয়েকজন ট্যুইটার ব্যবহারকারী নজরে আনেন যে ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের নয়। ঘটনাটি বিহারের এবং কোনওরকম রাজনৈতিক যোগসাজস নেই।
অন্যএকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ওই ভিডিওটিতে এক মহিলার হিন্দিতে সাহায্য চেয়ে আর্তনাদের প্রসঙ্গতুলে পশ্চমবঙ্গের না হওয়ার সম্ভাবনার কথা ব্যাক্ত করেছেন।
শিহরনকারী ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুর জেলার গোরাধি থানার পশ্চিম তোলা গ্রামের। ১৬ এপ্রিল ২০১৯ পারিবারিক কারনে তার বাবা ও ছোটভাই মিলে তাকে কুপিয়ে খুন করে।
এটা স্পষ্ট নয়, ঘটনাটি ঘটার সময় কে ভিডিওটি তোলে।
খবরে প্রকাশ, পারিবারিক বিবাদের কারনে শেষপর্যন্ত খুন হতে হয় বড় ছেলেকে। যদিও বিবাদের সঠিক কারন এখনও অজানা। খুন হওয়া ব্যক্তির ভাই আশিষ মন্ডলকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বুম ভাগলপুরের গোশালা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, একজন বরিষ্ঠ আধিকারিক ঘটনাটির প্রমান দিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ বুমকে জানিয়েছে, ভিডিওটি ওই একই ঘটনার। ওই ঘটনার অভিযুক্তই তাদের হেফাজতে রয়েছে।
অন্য গণমাধ্যমও এই ঘটনা নিয়ে খবর প্রকাশ করেছিল। এরকম দুটি প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে ও এখানে।