নাসা কি বৃষ্টির মেঘ সৃষ্টিকারী মেশিন তৈরি করেছে? একটি তথ্য-যাচাই
মূল ভিডিওটিতে বলা হয়েছে, এটি মহাকাশ যানের রকেটের ইঞ্জিন পরীক্ষার।
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/07/nasa.jpg)
একটি এডিট-করা ভিডিওয় দাবি করা হয়েছে যে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা একটি কৃত্রিম মেঘ সৃষ্টিকারী মেশিন তৈরি করেছে।
রাহুল পান্ডা নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এক মিনিটের ওই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। সঙ্গে ক্যাপশনে বলেছেন, “নাসার বৃষ্টির মেঘ সৃষ্টিকারী মেশিন। বিস্ময়কর…দেখুন পৃথিবী কোথায় পৌঁছে গেছে! এটা কি আমরা ভারতের জন্য আনতে পারি? মানে এখনই…আমরা তো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে আছি।”
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/07/cloud-generator-video-1-582x365.jpg)
পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনও ভিডিওটি রিটুইট করেন। ক্যাপশনে উনি বলেন, “আমরা কি ভারতে একটা আনতে পারি…আমি বলতে চাই এখনই…এখনই…প্লিজ!!”
ভিডিওটিতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের লোগো আছে। ভাষ্যকার বলছেন, মেশিনের সাহায্যে যে বাষ্পের ধোঁয়া সৃষ্টি হচ্ছে, তার ফলে এক ঘন্টার মধ্যেই বৃষ্টি হবে।
ক্লিপটির শেষে আমরা দেখি রিপোর্টার ভিজে যাচ্ছেন। আর বলছেন, “নাসা এখন ভগবানের ভূমিকায়। তারা নিজেরাই আবহাওয়া তৈরি করছে।”
ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি
![](https://bangla.boomlive.in/wp-content/uploads/sites/3/2019/07/Rain-cloud-generator-viral-on-fb-768x692-700x631.jpg)
তথ্য-যাচাই
ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে। মূল ভিডিওটিতে উপস্থাপক জেরেমি ক্লার্কসন বলেন, নাসা একটি রকেট পরীক্ষা করছে। কিন্তু এডিট-করা ভিডিওতে সে অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে, যাতে মনে হয় যে, মেশিনটি মেঘ তৈরি করছে।
‘টপ গিয়ার্স’ ইউটিউবে ‘স্পেস শাটল রকেট বুস্টার টেস্ট’ নামে ২.৫২ মিনিটের একটি ভিডিও আপলোড করেছিল। তাতে ক্লার্কসন বলেন, মিসিসিপিতে নাসার স্টেন্নিস স্পেস সেন্টারে, আরএস-৬৮ ইঞ্জিনের পরীক্ষা চলছে।
এডিট-করা ভিডিওটি এপ্রিল ২০১৮-তেও একবার ভাইরাল হয়েছিল। তখন ‘দ্য ভার্জ’ আর ‘এপি’ ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে সেটিকে নস্যাৎ করে দেয়।
এপির কথা অনুযায়ী, স্পেস শাটলের রকেট বুস্টার পরীক্ষা করার সময় নাসা আদৌ মেঘ সৃষ্টি করতে চায়নি।
নাসার মুখপাত্র ব্রুস বাকিংহাম ২৬ মে, ২০১৯ তারিখে এপিকে জানান, “ইঞ্জিনগুলি তরল অক্সিজেন আর তরল হাইড্রোজেন ব্যবহার করে। ইঞ্জিনের ভেতরে দুটিকে এক সঙ্গে জ্বালালে, তৈরি হয় বাষ্পের মেঘ। আর ওই বাষ্প ঠান্ডা হয়ে জলে পরিণত হয়। তার ফলে বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু সবটাই নির্ভর করে পরীক্ষা চলাকালে সেখানকার তাপমাত্র ও আর্দ্রতার ওপর।”