হংকংয়ের প্রতিবাদ আন্দোলনের ছবি উত্তরপ্রদেশে সিপিআইএম-এর মিছিলের ছবি বলে চালানো হচ্ছে
বুম দেখেছে— সবকটি ছবিই হংকংয়ে নাগরিক প্রত্যর্পণ বিলের বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদ আন্দোলনের দৃশ্য।
হংকংয়ের চলতে থাকা প্রতিবাদ আন্দোলনের চারটি ছবির একটি গুচ্ছ ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ করেছে এই ভুয়ো দাবি নিয়ে যে, এগুলি উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে লখনউতে সিপিআইএম দলের জনসভার ছবি।
ফেসবুক পোস্টের বাংলা ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, "যেটা বিজেপির কেনা মিডিয়া দেখায় না--উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে যোগী সরকারের কুশাসনের বিরুদ্ধে সিপিএম এর মহামিছিল।"
ছবিগুলিতে রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষকে জমায়েত হতে দেখা যাচ্ছে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
আমরা ছবিগুলির অনুসন্ধান চালিয়ে দেখি, সবকটি ছবিই হংকংয়ে বিচার প্রক্রিয়ায় চীন সরকারের কাছে নাগরিক প্রত্যর্পণ আইনের সংশোধন রদ করার দাবিতে হংকংবাসীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের দৃশ্য।
এই আন্দোলন এখনও সমানে চলছে। প্রতিবাদী ও বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই আইন হংকংবাসীদের নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করবে এবং হংকংয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনেরও আঘাত হানবে।
প্রথম ছবি
এই ছবিটি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর ফোটোগ্রাফার কিন চেউং ২০১৯ সালের ৭ জুলাই তুলেছিলেন। এটি ওই সংবাদসংস্থার ফোটো আর্কাইভ-এ রয়েছে। ছবিটির বিবরণে লেখা রয়েছে, "প্রতিবাদীরা ৭ জুলাই, রবিবার হংকংয়ের রাস্তায় একটি শোভাযাত্রা করে। হাজার-হাজার মানুষ চিনা মূল ভূখণ্ডের লোকেদের উদ্দেশে এক মাস ধরে চলা এই প্রতিবাদ-মিছিলে রবিবার অংশ নেয়, যাদের অনেকেরই পরনে ছিল কালো জামা এবং হাতে ছিল ব্রিটিশ পতাকা। এবং এই আন্দোলন প্রশমিত হবার কোনও চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না।"
দ্বিতীয় ছবি
এই ছবিটি ব্লুমবার্গ সংস্থার জন্য জুন মাসের ১৬ তারিখে তোলেন পাউলা ব্রনস্টাইন। একটি সংবাদ-নিবন্ধে ছবিটি ব্যবহৃত হয়, যার শিরোনাম ছিল, "আপাতত প্রতিবাদীদের জয় হলেও শেষ হাসি হয়তো চিনই হাসবে।" ছবিটির ক্যাপশন ছিল, "রবিবার, ১৬ জুন প্রতিবাদীরা হংকংয়ের রাস্তায় মার্চ করছে।"
তৃতীয় ছবি
এই ছবিটিও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)। ১৬ জুন এটি তুলেছিলেন এপি-র ভিনসেন্ট ইউ । ছবিটি এখানেও দেখতে পারেন।
চতুর্থ ছবি
চতুর্থ এই ছবিটিও হংকংয়ের প্রতিবাদ আন্দোলনের। বুম গেট্টি ইমেজেস-এর জিনহি জি-র তোলা ২৭ সেকেন্ডের একটি ফুটেজ হাতে পায়, যার ২১ সেকেন্ডের মাথায় ছবিতে একটি লাল ছাতা এবং একটি ওভারব্রিজের থাম দেখা যাচ্ছে যেমনটি ফেসবুক পোস্টের ছবিতে ছিল।
ফুটেজটি এখানে দেখতে পারেন।