গাড়ি রাখা নিয়ে দিল্লীর হাউজ কাজির বিবাদে সাম্প্রদায়িক ঘৃতাহুতি দিল ভুয়ো খবর
বুম দেখে, কীভবে দুই ব্যক্তির মধ্যে গাড়ি পার্ক করা নিয়ে বচসাকে কেন্দ্র করে পুরনো দিল্লির দুই সম্প্রদায়ের কাছে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মিথ্যে খবর আসতে থাকে।
হাউজ কাজি পুরনো দিল্লির আর পাঁচটা এলাকার মতই একটি ঘন বসতি-পূর্ণ ও সদা কর্মব্যস্ত জায়গা। সেখানে হাজারও শব্দ। রিক্সা টানার আওয়াজ। বাইক আরোহীদের লাগাতার আনাগোনা। সরু গলির দু’ ধারে রকমারি দোকানের গুঞ্জন। সব মিলেয়ে সেখানে কোলাহল লেগে থাকে সব সময়।
কিন্তু ৩০ জুলাই ২০১৯ থেকে জায়গাটা যেন থমথমে এক দুর্গে পরিণত হয়।
আর এমনটা হওয়ার পেছনে আছে, গাড়ি পার্ক কারা নিয়ে বিবাদ, একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর এবং সর্বোপরি মিথ্যে খবর।
বুম ৩০ জুনের ঘটনাগুলি পর্যালোচনা করে দেখানোর চেষ্টা করেছে যে, কী ভাবে ভুয়ো খবর ওই এলাকাটিকে এক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল।
যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই চৌরি বাজারের লাল কুয়া এলাকার বাসিন্দারা, নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে, বুমের সঙ্গে কথা বলে।
পার্কিং নিয়ে মারামারি
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ৩০ জুন ৯.৩০ নাগাদ সঞ্জীব গুপ্ত ও আস মহম্মদ নামের দুই ব্যক্তির মধ্যে বচসা শুরু হয়।
সঞ্জীব গুপ্তর বাড়ির সামনে আস মহম্মদ তাঁর মোটরবাইকটি রাখলে গুপ্ত আপত্তি করেন। তাঁদের কথা কাটাকাটি, হাতাহাতিতে গিয়ে দাঁড়ায়।
এক দোকানদার তাঁর দোকানের পাশে বসে-থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের আড়চোখে দেখে নিয়ে বলেন, “মহম্মদ সকলের সঙ্গেই ঝগড়া বাধায়। পুলিশও তার সম্পর্কে জানে। সেদিন গুপ্ত আর মহম্মদ তীব্র কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই বচসায় গুপ্তর বন্ধুরাও যোগ দেন। এবং এই সময় মহম্মদকে কেউ একজন মারে।”
প্রকাশিত খবর এবং স্থানীয় মানুষের কথা অনুযায়ী, এর পর মহম্মদ তাঁর পরিচিতদের নিয়ে আসেন এবং গুপ্তকে পেটান। ওই দোকানদার বলেন, “সেটা দুই ব্যক্তির মধ্যে মারামারির ঘটনা ছিল। এরকম হামেশাই হয়ে থাকে। কিন্তু কে জানত যে, একজন হিন্দু আর একজন মুসলমান হওয়াতে ব্যাপারটা জটিল হয়ে উঠবে।”
গলার স্বর নামিয়ে উনি আরও বলেন: “আমার নাম প্রকাশ করবেন না। শুধু বলবেন আমি হিন্দু। জন্ম থেকে আমি এখানেই বড় হয়েছি। কিন্তু এই প্রথম আমায় আমার ধর্ম দিয়ে নিজের পরিচয় দিতে হচ্ছে।”
প্রথম ভুয়ো বার্তা
অন্য এক ব্যবসাদার বলেন, রাত ১১.৩০ নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কাছে একটি মেসেজ আসে।
তাতে বলা হয়, “হিন্দুরা এক মুসলমান ছেলেকে মেরেছে। তাই লোকেরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।”
উনি ও তাঁর বন্ধুরা থানায় গিয়ে দেখেন এক দল লোক সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। “তারা আমাদের বলে যে, এক মুসলমানকে হিন্দুরা পিটিয়ে মেরেছে। সকলেই খুব উত্তেজিত ছিল। তারা ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিচ্ছিল। আমি তাদের কথা বিশ্বাস করি। এতজন লোক কি আর ভুল বলতে পারে?” বলেন সেই ব্যবসায়ী।
সংখ্যায় বেশিরভাগ সদস্যই মুসলমান, এমনই এক গ্রুপের কাছে যে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল বুম তা খতিয়ে দেখে।
রাত একটা পর্যন্ত থানার সামনে বিক্ষোভ চলে। সেই সময় একটি ভিডিও-ও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, স্থানীয় নেতা উবিদ ইকবাল সিদ্দিকি জমায়েত-হওয়া লোকজনকে জিজ্ঞেস করছেন, কেন তাঁরা থানায় এসেছেন? ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, সিদ্দিকি জানতে চাইছেন কী হয়েছে?
উত্তরে, একজন বলেন, “সারা দেশে যা হচ্ছে তাই। এক মুসলমান ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।
সিদ্দিকি প্রশ্ন করেন, “তার ধর্মের জন্য?” আর সমবেত জনতা বলে, “হ্যাঁ, তার ধর্মের জন্য।”
সিদ্দিকি যখন ছেলেটির নাম জানতে চান, তখন তারা বলে, “আমরা জানি না।”
একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর
থানার সামনে বিক্ষোভ চলা কালে, এক দল যুবক, যাদের মুসলমান বলে মনে করা হচ্ছে, তারা গলি দুর্গা মন্দিরের সামনে জড়ো হয়। মন্দিরটি ছোট। সেটি গুপ্তর বাড়ির উল্টোদিকে লাল কুয়ার একটা সরু গলির মধ্যে অবস্থিত।
মন্দিরের প্রবেশদ্বারে বেশ কিছু দেবতার বিগ্রহ আছে। মন্দিরটি আর পাঁচটা মন্দিরের মত নয়। সেখানে বিগ্রহ গলি দুর্গা মন্দিরের গলির দেওয়ালের গায়ে সারিবদ্ধভাবে লাগানো থাকে।
“রাত ১২.৩০ নাগাদ, কিছু লোক মন্দিরের বাইরে জড়ো হয়, এবং মূর্তিগুলি লক্ষ করে পাথর ছুঁড়তে থাকে,” বলেন গলি দুর্গা মন্দির গলির এক বাসিন্দা। অন্য এক বিচলিত বাসিন্দা বলেন, “তারা সবাই মুসলমান যুবক ছিল। মন্দিরে আগুনও ধরিয়ে দেয় তারা।”
যখন পোড়া অংশগুলি দেখতে চাওয়া হয়, তাঁরা বলেন, “আমরা তো এখানেই ছিলাম। আমরা তো সবই দেখেছি। প্রমাণের কি প্রয়োজন?”
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের উদ্যোগে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি স্থাপন হয়। কিছু মুসলমান ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরটি পুনর্গঠন করার খরচা মেটানোর প্রস্তাবও দেন। কিন্তু মন্দিরের গলিতে বসবাসকারী হিন্দুরা সন্তুষ্ট হন না।
যে যাই বলুক, আমরা এখানে সংখ্যালঘু। ওরা এসে মন্দির আক্রমণ করে। আমাদের আক্রমণ করা থেকে ওদের কে রুখবে? আমরা তাদের কাউকে আক্রমণ করিনি। তাহলে ওরা কেন মন্দিরে এলো?” জানতে চান ওই গলির এক বাসিন্দা।
মন্দিরটির একটি অংশের দিকে মুখ-করা একটি মাত্র সিসিটিভি ক্যামেরা সেদিনকার ঘটনার ছবি তোলে। বুম সেই ফুটেজ হাতে পায়। সিসিটিভি ফুটেজটিতে রাত ১২.৪০-এর ঘটনা ধরা ছিল। তাতে কিছু লোককে ঢিল ছুঁড়তে দেখা যায়। ফুটেজে মন্দিরটি দেখা যাচ্ছিল না।
যারা ঢিল ছুঁড়ছিল, স্থানীয় মানুষরা তাদের সনাক্ত করতে পারেনি। হাউজ কাজি পুলিশ অবশ্য চার জন নাবালক সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও মন্দিরের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ আনা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করে পুলিশ।
হিন্দু বাসিন্দাদের কাছে পাঠানো হয় ভুয়ো মেসেজ
রাত দুটো নাগাদ, ওই এলাকার হিন্দুদের কাছে একটি মেসেজ পৌঁছেতে থাকে। তাতে বলা হয়, “মুসলমানরা হিন্দু মহিলাদের আক্রমণ করেছে। তারা একটি মন্দিরও ভেঙ্গেছে। আর হিন্দু নেতারা ঘুমিয়ে আছেন।”
বুম কয়েকটি ভাইরাল-হওয়া মেসেজ দেখার সুযোগ পায়।
এরপর আরও দুটি উস্কানিমূলক মেসেজ আসতে থাকে। তাতে বলা হয় ছোরা আর বন্দুক নিয়ে মুসলমানরা এলাকার হিন্দুদের আক্রমণ করেছে।
ভুয়ো বার্তার দাবি এলাকার মসজিদ আক্রান্ত
সকাল ৪.০০ (১ জুলাই) নাগাদ স্থানীয় মুসলমানদের কাছে পৌঁছতে থাকে একটা মেসেজ। তাতে বলা হল ফাতেহপুরি আর লাল মসজিদের ওপর পাথর ছোঁড়া হয়েছে। দুটি মসজিদই মন্দিরটি থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে হবে।
“স্কুলগুলি শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যায়। আমরা আমাদের বাচ্চাদের বাইরে পাঠাতে পারিনি। তাই সারাদিন তারা ওই মেসেজগুলি দেখতে থাকে আর রাগে ফুসতে থাকে,” বলেন মন্দির গলির কাছে এক হার্ডওয়ার দোকানের মালিক। “হ্যাঁ, একটি মারামারি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তারা যে হিন্দু আর মুসলমান, সে বিষয়টা এত বড় করে দেখা হল কেন? সেটাকে শহরে ঘটা আর পাঁচটা ঝগড়ার মতোই দেখা হল না কেন?” জানতে চান তিনি।
মন্দিরে আক্রমণের পর হাউজ কাজিতে অবস্থার অবনতি হয়। পুলিশ অতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে পাঠায়। এবং সিআরপিএফ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এলাকায় ঘাঁটি গাড়ে। বুম যখন হাউজ কাজিতে যায়, তখন সেখানকার দোকানগুলির সামনে সিআরপিএফ, র্যাফ ও দিল্লি পুলিশের সদস্যরা পাহারা দিচ্ছিলেন। হাউজ কাজির প্রবেশ মুখে সিআরপিএফ-এর দুটি গাড়ি মোতায়েন করা ছিল।
স্থানীয় যুবকদের তাৎক্ষণিক তথ্য যাচাই
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার মধ্যেও, কিছু স্থানীয় যুবক উদ্যোগী হয়ে মিথ্যে ভাইরাল মেসেজগুলি খন্ডন করার ব্যাপারে তৎপর হন। আবু সুফিয়ান, যিনি ‘পুরানি দিল্লি ওয়ালোঁ কি বাতেঁ’ (পুরনো দিল্লিওয়ালাদের কথা) নামের এক ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেছেন, তিনি এক তাৎক্ষণিক তথ্য-যাচাই দলের নেতৃত্ব দেন। সুফিয়ান বলেন, “আমি এলাকার বাসিন্দা। এখানে হিন্দুদের তুলনায় মুসলমানদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু জায়গাটি শান্তিপূর্ণ। এখানে লোকে একসঙ্গে কাজকর্ম করে। এমনকি একে অপরের উৎসবেও অংশ নেয়। এটি খুবই ঐতিহ্যবাহী এলাকা। কিন্তু এখন এটিকে লোকে জানছে হিন্দু-মুসলমানের মারামারির জায়গা হিসেবে।”
একটি মসজিদে পাথর ছোঁড়া হয়েছে, এমন একটা মেসেজ পাওয়া মাত্রই সুফিয়ান ও ‘ইটিভি ভারত’-এর সাংবাদিক মহম্মদ রহিম বেরিয়ে পড়েন। সুফিয়ান বলেন, “আমি ফতেপুরি মসজিদে যাই। কিন্তু মেসেজে যেমনটা দাবি করা হয়েছিল, তেমন কিছুই ঘটেনি। আমি মসজিদের ইমামের সঙ্গে কথা বলি। উনি বলেন, মেসেজটা তিনিও পেয়েছেন।”
সুফিয়া বুমকে একটি খবরের কাগজের ক্লিপিং দেখান। তাতে বলা হয়, “একটি হিন্দু পরিবারের মারের ফলে, ২০ বছরের এক মুসলমান যুবক মারা গেছে”।
সুফিয়াঁ বলেন যে, ক্লিপিংটি ‘হিন্দুস্তান টাইমস’এর ২ জুলাই প্রকাশিত একটি লেখার। তাঁর এলাকার গন্ডগোলের রিপোর্ট বেরয় কাগজটিতে। “খবরটি ওই কাগজের প্রথম পাতায় ছাপা হয়। বাকি অংশ ছাপা হয় অন্য একটি পাতায়। প্রথম পাতায় খবরটি শেষে হয় এই ভাবে, “পুলিশ বলে যে, সোমবার ১২.৩০ নাগাদ এলাকায় কথা ছড়ায় যে, একজন...”। খবরের বাকি অংশটা ছাপা হয় অন্য পাতায়।
সেখানে সেই অসমাপ্ত অংশটার শিরোনাম দেওয়া হয় স্রেফ ‘সংঘর্ষ’। এবং ওই অংশটি শুরু হয় এভাবে: “২০ বছরের একজন মুসলমান যুবক মারা যান একটি হিন্দু পরিবারের মারের ফলে।” সুফিয়ান বলেন সংবাদের ওই ক্লিপটা ভাইরাল হয়। ক্যাপশনে দাবি করা হয়, হিন্দুরা মুসলমানদের মেরে ফেলছে। সুফিয়া বলেন, “খবরের প্রথম দিকের দুটি শব্দ—‘কথা ছড়ায়’— যা প্রমাণ করে যে গুজবের দ্বারা চালিত হয়েই মুসলমানরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই দুটি শব্দ ভাইরাল ক্লিপ থেকে বাদ যায়। মানে, ওই সংঘর্ষ সম্পর্কে একটা সঠিক খবরকে ভুয়ো খবর আর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে ব্যবহার করা হয়।”
বুম হিন্দুস্তান টাইমসের বৈদ্যুতিন সংস্করণটি খুলে দেখে। তা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, সুফিয়ার কথা ঠিক। ওই প্রকাশিত খবরের প্রথম অনুচ্ছেদে যা লেখা হয়, তার পূর্ণ বয়ানটি হল: “পুলিশ বলে, সোমবার ১২.৩০ নাগাদ, এলাকায় কথা ছড়ায় যে এক ২০ বছরের মুসলমান যুবক মারা যায় একটি হিন্দু পরিবারের মারের কারণে। এর প্রতিক্রিয়ায়, পুলিশ বলে, লোকে সেখানকার একটি মন্দিরে ভাঙচুর চালায় এবং মূর্তিগুলি অপবিত্র করে। এর ফলে, অন্য একটি দল সেখানে হাজির হয়, এবং যারা মন্দির ভাঙ্গছিল বলে ধারণা, তাদের তাড়া করে ও তাদের ওপর চড়াও হয়।”
যে মসজিদগুলি আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল, সুফিয়া ও রহিম দুদিন ধরে সেখানে যান। এবং তাঁরা ভিডিও পোস্ট করে জানাতে থাকেন যে, সেরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
নীচে ফেসবুকে পোস্ট-করা ‘পুরানি দিল্লিওয়ালোঁ কি বাতেঁ’- এর ভিডিও। এটিতে লাল মসজিদে আক্রমণ হওয়ার দাবি খারিজ করা হয়েছে।
ভুয়ো খবর এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) মন্দীপ সিং রণধাওয়া, সে কথা উড়িয়ে দেন। বুমকে উনি বলেন, “এলাকা এখন শান্ত। কোনও সমস্যা নেই। কোনও মেসেজ চালাচালি হচ্ছে না।”
হাউজ কাজির জীবনযাত্রা এখন স্বাভাবিক। দোকানপাট খুলেছে। দুপুরের রোদে চা পানের সঙ্গে চলেছে কেনাবেচা। যে ঘটনা দেওয়াল-ঘেরা শহরটিকে কাঁপিয়ে ছিল কয়েক দিন আগে, তা ভুলে গিয়ে বাচ্চারা আবার খেলে বেড়াচ্ছে। বাতাসে উত্তেজনার কোনও রেশ নেই। তবুও অলিতে-গলিতে এখনও চাপা সন্দেহ। বহু বছরের প্রতিবেশীরা ভয় পাচ্ছেন একে অপরকে।