মহরমে অংশগ্রহণকারী এক তরুনীর ছবিকে প্রচার করা হল কাশ্মীরের ছবি বলে
বুম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ছবিটি অনেক পুরনো— ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের।
এক তরুণীর মাথা ফেটে অঝোরে রক্ত পড়ার ছবি ফেসবুকে মিথ্যে দাবির সঙ্গে শেয়ার করা হল। দাবি করা হল যে এটি কাশ্মীরের ছবি।
ছবিটির সঙ্গে হিন্দিতে লেখা পোস্টটির অনুবাদ দেওয়া হল।
“যেখানে ইয়াজিদের সৈন্যবাহিনী দেখা যায় সেখানে আমরা বাহাত্তর জন দেখতে পাই। কেউ আমাদের লাশ দেখতে পায় না। শুধু আমাদের হাতে পাথর দেখতে পায়। #সেভকাশ্মীর।”
(মূল হিন্দি: जहाँ यज़ीद का लश्कर दिखाई देता है। वहां पे हमको बहत्तर दिखाई देता है हमारी लाश किसी को नज़र नही आती हमारे हाथ का पत्थर दिखाई देता है। #SaveKashmir)
ফেসবুকে ভাইরাল
এই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে এবং অনেকেই ওই একই ক্যাপশন দিয়ে ছবিটি শেয়ার করেছেন।
তথ্য যাচাই
ইয়ান্ডেক্স নামের রাশিয়ান সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা দেখতে পাই যে ছবিটি অনেক পুরানো এবং মোটেই এটি কাশ্মীরের ছবি নয়।
সার্চ করে দেখা যায় যে ছবিটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারির। একটি শিয়া ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদনে ছবিটি দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনটি ছিল সারা বিশ্ব জুড়ে আশুরা (মহরমের দশম দিন) উদযাপনের বিষয়ে ছিল।
ভাইরাল হওয়া ছবিটি লেবাননের ছবি হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। এ থেকে অনুমান করা যায় যে ছবিটি সেখানকার।
আশুরার দিন শিয়া মুসলিমরা লাতিমা করেন, অর্থাৎ বুক চাপড়ান; ততবির করেন, অর্থাৎ নিজেকে চাবুক মারেন, চেন দিয়ে মাথায় আঘাত করেন বা তরবারির ভোঁতা দিক দিয়ে নিজেকে আহত করার মত নানা ধরনের আচার পালন করেন।
অনেকেই মনে করেন যে আশুরা উদযাপনের দিনে রক্তক্ষরণ করলে নিজের শরীর থেকে পাপ ধুয়ে যায়। (আরও পড়তে পারেন এখানে )
ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে ওই তরুণীর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য এক জনের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা যাচ্ছে। তাঁর পিছনে থাকা অন্যান্য লোকের মাথা থেকেও রক্ত পড়তে দেখা যাচ্ছে।