অরুনাচলের হেলিকপ্টর দুর্ঘটনায় মৃত সৈনিকদের কফিন গড়চিরৌলি মাওবাদী হামলায় মৃত সৈনিকদের বলে দাবি
কার্ডবোর্ডে মোড়ানো কফিনগুলি ২০১৭ সালে আক্টোবর মাসে অরুনাচলের তাওয়াংয়ের হওয়া একটি হেলিকপ্টর দুর্ঘটনার।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন সেটি মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি মাওবাদী হামলায় মৃত সৈনিকদের কফিন। তিনি অভিযোগ করেছেন সেনাবহিনীর মৃত জওয়ানদের কফিনের প্রতি সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনার অভাব। পোস্টটিতে দেওয়া ছবিতে পলিথিন জড়ানো ৪ টি কার্ডবোর্ডের মোড়ক দেখা যাচ্ছে। পাশে সেনাবাহিনীর পোষাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তিকেও দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি ওই পোস্টে ক্যাপশন লিখেছেন— ‘‘এগুলো কোন আবর্জনা নয়, মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি অঞ্চলে মাওবাদী হামলায় নিহত সেনা শহীদদের মৃতদেহ। সেই দেশের শহীদ যে দেশের আত্মমুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী নিজের ছবি প্রচারের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দেয়, বিদেশ ভ্রমণের জন্য ২০০০ কোটি টাকা খরচ করে, প্রতিদিন ৮-১০ লক্ষ টাকার ডায়মন্ড ফেসিয়াল করায়, প্রতিদিন ৪ লক্ষ টাকার তাইওয়ানের মাশরুম খায়, ১০ লক্ষ টাকার স্যুট পড়ে, পাঁচ বছরে ৭০ কোটি টাকা খরচ করে নিজের জন্য ১৩০০০ পোশাক বানায়। অথচ শহীদের মৃতদেহ কফিন পায়না। ছিঃ মোদি ছিঃ। সংগ্রহীত।’’ পোস্টটি এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটি ২৪১ জন লাইক ও ১৭৪ জন শেয়ার করেছে। পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে ইয়েনডেক্স ও গুগুলে। ছবিটি মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি অঞ্চলে মাওবাদী হামলায় নিহত সৈনিকদের কাফিন নয়।
কফিনগুলি, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে অরুনাচলের তাওয়াংয়ের হেলিকপ্টর দুর্ঘটনার। মি ১৭ ভি ৫ চপার দুর্ঘটনায় ভারতীয় বায়ুসেনার দুজন পাইলট ও ২ জন সেনা মারা যান। কার্ডবোর্ডে মোড়ানো সৈনিকদের কফিনগুলি দেখে তখন ও ঝড় ওঠে। পরে সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত ডিজি জানান, ‘‘স্থানীয়ভাবে ওই মোড়ক গুলির মাধ্যেমে দুর্গম এলাকা থেকে মৃত দেহ গুলি আনা হলেও পরে যাথাযথ মর্য়াদায় কফিনের ব্যবস্থা করে শেষ বিদায় জানানো হয়। এব্যপারে রেডইফ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।