গুগুলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের নামে আবারও চালানো হচ্ছে ভুয়ো উদ্ধৃতি
বুম দেখে উদ্ধৃতিটি ভুয়ো। এটি ২০১৭ সাল থেকেই ইন্টারনেটে শেয়ার করা হচ্ছে।
ভুয়ো খবরের কারবারিরা গুগুল সিইও বা প্রধান অধিকর্তার নাম হামেসাই ব্যবহার করে থাকে। দু’বছর আগে একটি ভুয়ো উদ্ধৃতি পিচাইয়ের নামে চালানো হয়েছিল। সেটি আবার নতুন করে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২৬ অগস্ট ২০১৯, একজন টুইটার ব্যবহারকারী গুগুল সিইও পিচাইয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিটির পাশে ছিল একটি উদ্ধৃতি। মনে হচ্ছিল, সেটি যেন পিচাইয়েরই উক্তি।
সেখানে বলা হয়, “রাজনীতিতে আমার কোনও আগ্রহ নেই। কিন্তু ভারতে বেকারত্ব সম্পর্কে আমি চিন্তিত। লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী তাঁদের চাকরি হারাচ্ছেন। মানুষের খাদ্যাভাসের ওপর নজর না দিয়ে, ভারতের উচিৎ মানুষের ভাল হয় এমন কাজের ওপর জোর দেওয়া। দেশের ভবিষ্যৎ যুক্তিসম্পন্ন মানুষের হাতে আছে।
সিইও,গুগুল”
সুন্দর পিচাই
বুম ফেসবুকে কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখে যে পিচাই-এর নামে ছড়ানো পোস্টগুলি ২০১৭ সাল থেকে বারবার ফিরছে।
আমরা আরও দেখি যে, ওই উদ্ধৃতির একটা বর্ধিত আংশ ২০১৭ সাল থেকে টুইটারে শেয়ার করা হচ্ছে। সেখানে ভারতে গো-মাংস খাওয়া আর এব্যাপারে ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর মন্তব্য করা হয়।
তথ্য যাচাই
উদ্ধৃতিটি নিয়ে বুম গুগুলে সার্চ করে। কিন্তু সেটির সত্যতা সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়ার মতো কোনও নির্ভরযোগ্য সূত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আমরা আরও অনেকগুলি তথ্য যাচাইকারী ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের সন্ধান পাই যেখানো ওই উদ্ধৃতিটিকে ভুয়ো বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুম গুগুলের এক মুখপাত্রের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। উনি জানান যে, উদ্ধৃতিটি সত্যিই ভুয়ো।
উনি বলেন, “আমি বলতে পারি যে, একটি কারসাজি-করা ছবি আর একটি ভুয়ো উদ্ধৃতি তাঁর নামে চালানো হয়েছে।”
ভুয়ো খবরে পিচাইয়ের নাম এই প্রথম ব্যবহার করা হল এমনটা নয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়, অনেক টুইটার ব্যবহারকারী ও বেশ কয়েকটি নামকরা সংবাদমাধ্যম তাঁর সম্পর্কে একটি ভুয়ো খবর প্রচার করে। বলা হয়, ভোট দিতে পিচাই ভারতে এসেছিলেন। বুম দেখে, খবরটি জাল। বুম এও জানতে পারে যে, পিচাই ভারতে ভোট দিতে পারেন না, কারণ উনি এখন মার্কিন নাগরিক।
আরও পড়ুন: সুন্দর পিচাইয়ের একটি পুরনো ছবি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, তিনি নাকি ভোট দিতে ভারতে এসেছেন