মমতা বনাম সিবিআইঃ পশ্চিমবঙ্গে কী ঘটছে
ধর্নায় বসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংকটকে বিজেপির একটি রাজনৈতিক ক্যু বলে বর্ণনা করেছেন
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের রণদামামা বাজিয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাতকে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলের সামনে রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন । লাউডন স্ট্রিটে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সরকারি আবাসনে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্রের তরফে ‘অভূতপূর্ব স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা’ আখ্যা দিয়ে তিনি ধর্নায় বসেছেন । তার পরেই যা ঘটে, তা হল কলকাতার রাস্তায় উত্তেজনাময় নাটক, যাতে কলকাতা পুলিশ সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে । এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক ক্যু-র অভিযোগে প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন । এখনও তিনি সেখানেই বসে আছেন এবং রাজ্য বাজেট পেশ করার আগের মন্ত্রিসভার বৈঠকটি ধর্নাস্থলে বসেই সারেন ।
৩ ফেব্রুয়ারি লাউডন স্ট্রিট ও নিজাম প্যালেসের ঘটনা যেভাবে ঘটে
রবিবার সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপার তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বে অফিসাররা লাউডন স্ট্রিটে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান সরকারি কাজের অছিলায় । সেখানে প্রথমে নিরাপত্তা রক্ষীরা, পরে কলকাতা পুলিশের অফিসাররা তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয় । সিবিআই তবু ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাঁদের আটক করে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে আসে । অন্য দিকে রাজ্য পুলিশ নিজাম প্যালেস ও সল্ট লেকে সিবিআইয়ের দফতর ঘিরে ফেলে । পাঁচজন সিবিআই অফিসারকে রাজ্য পুলিশ আটক করে রাখে, পরে ছেড়েও দেয় । মুখ্যমন্ত্রী ততক্ষণে রাজীব কুমারের বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এবং বেরিয়ে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, নরেন্দ্র মোদীর রাজত্বের স্বৈরতান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের প্রতিবাদে তিনি অনির্দিষ্টকাল ধর্নায় বসছেন । তাঁকে বলতে শোনা যায়—“আমি জীবন দিতে রাজি আছি, কিন্তু মাথা নত করতে প্রস্তুত নই । আমি আমার পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্বিত ।” কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি মেট্রো চ্যানেলে পৌঁছে যান । এর স্থান-মাহাত্ম্য হল, এখানে ধর্নায় বসেই মমতা ব্যানার্জি সিপিআইএমের ৩৪ বছরের শাসনের অবসানের আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন ।
কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার কেন সিবিআইয়ের নজরে
সিবিআইয়ের সন্দেহ, সারদা চিটফান্ড কেলেংকারির তদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের (এসআইটি) ভারপ্রাপ্ত রাজীব কুমারের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে, যা তিনি তদন্ত চালানোর সময় বাজেয়াপ্ত করেছিলেন । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সিবিআই তদন্তকালে খোয়া-যাওয়া ওই সব তথ্যসম্বলিত নথিপত্র জমা দিতে বলে, কিন্তু বারবার ডাকা সত্ত্বেও রাজীব কুমার সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেননি । আর সে কারণেই তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে যেতে হয় ।
সুপ্রিম কোর্টের ২০১৪ সালের নির্দেশে সিবিআই সারদা চিটফান্ড কেলেংকারির তদন্ত হাতে নেয় । ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি প্রবীণকে লিখিতভাবে জানানো হয়, যে সব রাজ্য পুলিশের অফিসার সিবিআইয়ের আগে এই কেলেংকারির তদন্ত চালাচ্ছিলেন, তাদের সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে । কিন্তু সেই তদন্তকারীরা কেউই সিবিআইয়ের কাছে যাননি । ২০১৩ সালে মমতা ব্যানার্জি সারদা তদন্তে ওই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিলেন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তরিত করে দেয় ।
অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ
সিবিআইয়ের অভিযোগ, পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার তদন্তে কণামাত্র সহযোগিতা করেননি । রাজীব কুমার ও তাঁর সহযোগী তদন্তকারীদের সারদা কেলেংকারি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বার বারই তাদের সুবিধাজনক সময়ে হাজিরা দিতে বলা হয় । আর সে জন্যই শেষ পর্যন্ত সিবিআইকে তাঁর বাড়িতে হানা দিতে হয় । সারদা ও রোজ ভ্যালি চিটফান্ড কেলেংকারির তদন্ত বিলম্বিত করা এবং তাকে হাল্কা করে দেওয়ার দায়ে রাজীব কুমার এমনকী গ্রেফতারও হতে পারেন ।
ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা নাগেশ্বর রাও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ীই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ।
রাওয়ের মতে, সিবিআইয়ের হাতে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে যে তিনি ওই সব কেলেংকারিতে জড়িতদের বিষয়ে অনেক নথিপত্র ও প্রমাণ নষ্ট করে ফেলেছেন । রাজ্য পুলিশও রাজীবের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রবল অনীহা প্রকাশ করেছে । তবে যেহেতু সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই তদন্ত চালাচ্ছে, তাই এ জন্য তাদের কারও কাছ থেকে আগাম অনুমতি নেবার দরকার নেই । তিনি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য নথি ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিমও রবিবার পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, রাজীব কুমার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, সিবিআইয়ের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, মর্যাদাহানিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । রাজীব কুমার ৩১ জানুয়ারি ছাড়া রোজই অফিসে গেছেন । কলকাতা হাইকোর্টও তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের শমনের উপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিবিআইয়ের এই ক্রিয়াকলাপ ‘রাজনৈতিক’ এবং তিনি রাজনৈতিকভাবেই তার মোকাবিলায় নেমেছেন । রবিবার রাত্রে তিনি বলেন—“ওরা আদালতের নির্দেশ বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই কমিশনারের বাড়িতে গেছে । এটা কলকাতা হাইকোর্টের একটা বিচারাধীন মামলা এবং একটা স্থগিতাদেশও রয়েছে l এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ l” এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, নির্বাচন কমিশন যখন তার ফুল বেঞ্চের সামনে রাজীব কুমারের উপস্থিত না হওয়ার কারণ জানতে চায়তখন মুখ্যমন্ত্রী সাফাই গেয়ে টুইট করেন, উনি রোজই দফতরে যাচ্ছেন, শুধু ওই একদিনই ছুটি নিয়েছিলেন ।
লাউডন স্ট্রিট থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বলেন—“এটা কি রাজনৈতিক ক্যু? এরপর কি ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা? সেই ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় ঐক্যবদ্ধ ভারত জমায়েত আয়োজনের পর থেকেই ওরা আমায় লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে । কিন্তু আমি মাথা নোয়াইনি । আমি খবর পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী সিবিআইয়ের অফিসারদের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে বলছেন—আরে কিছু তো করো । প্রত্যেক বার ভোটের আগে এ সব করা হয় । ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও একই ভাবে ওরা তত্পর হয়েছিল, এখন আবার শুরু করেছে । সেই জন্যই আমি সত্যাগ্রহ শুরু করছি ।”
সিবিআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় যুগ্ম-অধিকর্তাপঙ্কজ শ্রীবাস্তব জানালেন—“পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞআসাবাদ করার জন্য সিবিআইয়ের কারও অনুমতির দরকার নেই । আমরা সিবিআই অফিসারদের হেনস্থার বিরুদ্ধে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি । আমাদের কাছে তার প্রমাণও আছে । আমরা কেবল রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলাম ।”
১৯ জানুয়ারি ঐক্যবদ্ধ ভারত সমাবেশের প্রতিক্রিয়া এটাঃ মমতা ব্যানার্জি
রবিবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বলেন, “বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বুঝে গেছে, ২০১৯-এর নির্বাচন ওরা জিততে পারবে না । তাই এভাবে চাপ সৃষ্টি করছে । আমরাও দেখব ওরা কতদূর কী করতে পারে । আমরাও দেখব, ওরা বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কিনা । আমি জানি, ব্রিগেডের সভার সাফল্যের পর ওরা সিবিআইকে দিয়ে আমাদের নেতাদের গ্রেফতার করাতে চাইছে । এখন যা পরিস্থিতি চলছে, সেটা জরুরি অবস্থার চেয়েও অনেক খারাপ । আমি এও খবর পেয়েছি যে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে সিবিআইকে দিয়ে বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করতে সচেষ্ট।”
দুই পক্ষের সামনে কী কী বিকল্প খোলা আছে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ উভয়েরই মত, রাজ্য সরকার এবং সিবিআই, উভয়েই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে না দিয়ে গোটা ব্যাপারটা আরও কূটনৈতিকভাবে সমাধান করতে পারত । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ির মতে “সিবিআই সরাসরি রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা না দিয়ে তাঁর দফতরে যেতে পারত । অন্য দিকে মমতা ব্যানার্জিও ধর্নায় বসার আগে আর একটু অপেক্ষা করতে পারতেন । এটা উল্টে মমতার উপর চাপ বাড়িয়ে বিজেপিরই আরও সুবিধা করে দেবে ।”
কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গৌতমমোহন চক্রবর্তীর মতে এই ঘটনাটা কলকাতা পুলিশ ও সিবিআই উভয়ের পক্ষেই লজ্জাজনক । দুই বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি আরও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচিত হওয়া দরকার । সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন যে অভিষেক মনু সিংভি, তাঁর মতে “কী পরিস্থিতিতে একজন তদন্তকারী অফিসার কোনও ব্যক্তির বাড়িতে ওয়ারেন্ট ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন, তার বাঁধা-ধরা নিয়ম আছে, যেমন কেউ যদি অকারণে দীর্ঘ কাল টালবাহানা করেন, যাতে তথ্যপ্রমাণ নাগালে পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে । এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, এটা দেখাতে না পারলে সিবিআই প্রবেশাধিকার পেতে পারে না । ওয়ারেন্ট না-থাকার বিষয়টাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে রাজ্য-পুলিশের আচরণ সমর্থন করার যুক্তি হতে পারে ।”
কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল, যিনি ঘটনাচক্রে কলকাতা পুলিশের কমিশনার । রাজ্য-পুলিশকে দিয়ে সিবিআইকে ভয় দেখিয়ে এবং কিছু ক্ষণের জন্য আটক করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যাপারটাকে একটা সংকটে পরিণত করেছে । এখন শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার ।” তাঁর মতে এটাও দেখার যে কেন্দ্র রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করে কিনা ।
রাষ্ট্রপতির শাসন কখন জারি করা যায়?
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনও রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা যায় তখনই, যখন রাজ্যপাল এই মর্মে রিপোর্ট দেন যে, রাজ্যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । রাষ্ট্রপতির শাসন খুব ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই প্রযুক্ত হয় এবং শীর্ষ আদালত ও সরকারিয়া কমিশনের মতে কেবল শেষ অবলম্বন হিসাবেই এটা জারি করা যায়।
চিট ফান্ড কেলেংকারিঃ কোথায় এর সূচনা
রাজীব কুমার কলকাতা পুলিশের কমিশনার নিযুক্ত হন ২০১৬ সালে । তার আগে তিনি বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার ছিলেন । সারদা কেলেংকারি ফাঁস হওয়ার পর ২০১৩ সালে মমতা ব্যানার্জি তার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন । রাজীব কুমারকে তার মাথায় বসানো হয় । রোজ ভ্যালি কেলেংকারির অর্থমূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং সারদা কেলেংকারির ২৫ হাজার কোটি । উভয় ক্ষেত্রেই চিট ফান্ড কোম্পানিগুলি আমানতকারীদের আমানতের মেয়াদ পূর্ণ হলেও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে এবং প্রাপ্য টাকা না দিয়ে কোম্পানি গুটিয়ে ফেলে । সুপ্রিম কোর্ট ২০১৪ সালে সিবিআইকে এই কেলেংকারির তদন্তের ভার হস্তান্তরিত করে ।
কেলেংকারির পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার শ্যামল সেন অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে কেলেংকারির কারণ জানতে । কেন্দ্রীয় সরকারও আয়কর দফতর এবং এনফোর্সমেল্ট ডিরেক্টরেটকে দিয়ে চিটফান্ড কেলেংকারির তদন্ত শুরু করে । ২০১৪ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট সব কটি চিটফান্ড কেলেংকারির তদন্ত সিবিআইকে হস্তান্তরিত করার পর পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের বেশ কয়েকজন নজরকাড়া নেতা কেলেংকারিতে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার হন—প্রাক্তন পরিবহণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র, চলচ্চিত্র অভিনেতা তাপস পাল, কুনাল ঘোষ, সৃঞ্জয় বোস, প্রথম সারির ফুটবল প্রশাসক দেবব্রত সরকার প্রমুখ ।