অন্ধ্রপ্রদেশে এক ব্যক্তিকে কলেজ ছাত্রদের মারধোরের ঘটনাতে দেওয়া হল গণপিটুনির মিথ্যে তকমা
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নৃশংসভাবে মারা হচ্ছে এক ব্যক্তিকে। সেটি অন্ধ্রপ্রদেশের একটি কলেজের ছাত্রদের মধ্যে মারামারির ঘটনা।
অন্ধ্রপ্রদেশে একটি কলেজের ছাত্ররা খেলার মাঠে একজনকে নৃশংসভাবে মারছে, এমন এক অস্বস্তিকর দৃশ্য মিথ্যে দাবি সমেত সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বলা হয়েছে, মারমুখী জনতার গণপ্রহারে মারা গেছে একটি লোক।
স্থানীয় পুলিশ বুমকে বলে যে, ওটা ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা। আর মারের শিকার যে ব্যক্তি, তিনি বেঁচে আছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।
৫৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি ফেসবুক ও টুইটারে শেয়ার করা হচ্ছে। আর সঙ্গের ক্যাপশনে বলা হচ্ছে, ওটা একটি গণপিটুনির ঘটনা।
সতর্কবার্তা: নীচের ভিডিওটিতে হিংসার বীভৎস দৃশ্য আছে।
একই ক্যাপশন সহ এটি ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটি ফ্রেমে ফ্রেমে ভেঙ্গে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। তার ফলে সামনে আসে ২০১৯ সালের জুন মাসের কিছু সংবাদ প্রতিবেদন। তাতে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরামু নামক এক জায়গায়।
ইটিভি অন্ধ্রপ্রদেশের ২৮ জুন ২০১৯ তারিখের রিপোর্টে বলা হয়, ওই রাজ্যের অনন্তপুরামু জেলার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজে ওই মারামারির ঘটনা ঘটে।
বুম অনন্তপুরামুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরা গণপিটুনির দাবিটা উড়িয়ে দেন। অনন্তপুরামুর মহকুমা পুলিশ অধিকর্তা জি বীরা রাঘব রেড্ডি বুমকে বলেন, কলেজের কিছু ছাত্র একটি ছেলেকে মারধোর করে। ছেলেটি কলেজের ছাত্র নয়, কিন্তু প্রায়ই সেখানে যেত।
“যাকে মারা হয়, সে কলেজের ছাত্র নয়। কিন্তু সে তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে মাঝে মাঝেই সেখানে যেত। সে ওই কলেজেরই এক ছাত্রীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং তাকে জানায় সে কথা। মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে জানায়। এবার সে ওই ছেলেটিকে মারে,” বলেন রেড্ডি।
উনি আরও বলেন, লাথি আর চড়-থাপ্পড়ের আঘাতে ছেলেটি কলেজে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। “তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলে। এবং এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা এফআইআর নথিভুক্ত করেছি। অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে এবং হেফাজতে আছে,” জানান রেড্ডি।