বিজেপি বিরোধী রাজনীতিকদের নামে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল ভুয়ো বিজেপি সদস্য কার্ড
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটির্জি ওই ছবি দেখিয়ে মঙ্গলবার বলেন, ‘‘দলের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাইবার ক্রাইম বিভাগে আমরা অভিযোগ জানাব।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার সংসদ ক্ষেত্র বারাণসীতে ৬ জুলাই শনিবার বিজেপি সদস্যসংগ্রহ অভিযান শুরু করার মাত্র কয়েকেদিনের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছয়লাপ হল বিজেপি বিরোধী রাজনীতিকদের ভুয়ো সদ্যস্যতা কার্ড।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএম নেতা মানিক সরকারের ভুয়ো বিজেপি সদস্যের গ্রাফিক্স কার্ড ভাইরাল হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ নম্বরের শেষ তিন অঙ্কে লেখা হয়েছে ৪২০ ও তাঁর নাম লেখা হয়েছে রাহুল রাজীব গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদস্যপদ নম্বরের শেষ চার অঙ্কে লেখা হয়েছে ৯৫১২ এবং মানিক সরকারের সদস্যপদ নম্বেরের তিন অঙ্কে লেখা হয়েছে ৩১১৪। ওই কার্ডগুলিতে দেওয়া হয়েছে তিন নেতা নেত্রীর বৃত্তাকার ছবি।
ফেসবুকেও এই ধরনের ভুয়ো কার্ড ছড়িয়েছে। এরকম একটি পোস্ট দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
মঙ্গলবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটির্জি ওই ছবি দেখিয়ে বলেন, ‘‘ফেসবুকে মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এটা নিকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত। দলের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাইবার ক্রাইম বিভাগে আমরা অভিযোগ জানাব।’’
ফোনের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করার জন্য বিজেপির তরফে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মিস্ড কল দিতে বলা হচ্ছে। অথবা এসএমএস-এ নাম, ঠিকানা, ভোটার আইডি নম্বর ও পিন নম্বর পাঠাতে বলা হচ্ছে ওই নম্বরে।
এছাড়া নমো অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও অফলাইনেও চলছে এই প্রক্রিয়া।
বিজেপি আইটটি ইন-চার্জ তার সদস্য কার্ড পোস্ট করেছেন। সেখানে রয়েছে তার সদস্য নম্বর। ভুঁয়ো কার্ড গুলিতে নেই সদস্য নম্বর।