না, কবরগুলি বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইকের প্রমাণ নয়
ছয় বছর আগে যে বোমা বিস্ফোরণ পাকিস্তানের কোয়েট্টাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, সেই ঘটনার ছবি থেকেই নেওয়া হয়েছে।
মানুষের মৃতদেহ কবর দেওয়ার জন্য খোঁড়া বেশ কিছু পুরনো কবরের ছবি, এই মিথ্যে তথ্য সমেত দেওয়া হচ্ছে যে, সেগুলি ‘দ্বিতীয় সার্জিকাল স্ট্রাইকের' প্রমাণ, যাতে ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে’।
প্রচুর ফেসবুক পোস্টে ও ওয়াটসঅ্যাপ মেসেজে ব্যাপকভাবে ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় এয়ার ফোর্সের বিমান হানায় ওই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবিতে এই ক্যাপশান দেওয়া হচ্ছে: “#पाकिस्तान-में४दिन-से-लगातार-कब्रे# खुदवायी-जा-रहीहैऔरतुमअभीतकसबूतपेहीअटकेहो ।
( গত চারদিন ধরে পাকিস্তানে ওই কবরগুলি খোঁড়া হচ্ছে এবং তোমরা এখনও প্রমাণ চাইছ)।”
আর্কাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ছবিগুলি টুইটারেও শেয়ার করা হয়েছে।
এখানে এবং এখানে আর্কাইভের টুইটগুলি আছে।
তথ্য যাচাই
বুম ছবির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। তাতে দেখা যায়, ছয় বছর আগে যে বোমা বিস্ফোরণ পাকিস্তানের কোয়েট্টাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, সেই ঘটনার ছবি থেকেই নেওয়া হয়েছে। এবং ওই ছবি নিউ ইয়র্ক টাইমসে ওই ঘটনার খবরের সঙ্গে প্রথম ছাপা হয়েছিল। সঙ্গে এই ক্যাপশান দেওয়া হয়েছিল – পাকিস্তানিরা কবরগুলি তৈরি করছে।
এবং রবিবার, আগের দিনের আক্রমণে যে ৮৪ জন নিহত হয়েছিল, তার জন্য শাস্তি দাবি করেছেন শিয়ারা ।
করাচিতে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েট্টায় একটি জনবহুল বাজারে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। যাতে ৬৩ জন নিহত হন এবং প্রায় ১৮০ জন মানুষ আহত হন। ওই ছবিটি আসলে তোলেন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’র আরসাদ বাট।
আসল ছবিটি এপি’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল এই ক্যাপশান দিয়ে, “পাকিস্তানে কোয়েট্টায় রবিবার এক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের কবর দেওয়া হচ্ছে”।
গেট্টি, যেটি একটি ছবি সরবরাহকারী সংস্থা, ওই সাইট থেকেই কিছু ছবি শেয়ার করেছিল।