না, যাকে চটিপেটা করা হচ্ছে, তিনি হিমাচল প্রদেশের কোনও বিজেপি বিধায়ক নন
২০১৮ সালের ওই ঘটনায় দু’জন শিক্ষানবিস মহিলা কন্ডাক্টার এক ইউনিয়ন নেতাকে মারেন।
হিমাচল প্রদেশ রাজ্য পরিবহন সংস্থার দু’জন মহিলা বাস কন্ডাক্টারকে একজন ইউনিয়ন নেতাকে মারতে দেখা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। কিন্তু সেই ঘটনার ভিডিও এই মিথ্যে দাবি সমেত প্রচার করা হচ্ছে যে, রাজ্যের এক বিজেপি বিধায়ককে মারা হচ্ছে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মালা পরানোর অজুহাতে দুই মহিলা এক ব্যক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারপর, একজন নিজের পায়ের চটি খুলে তাকে মারতে শুরু করেন।
টুইটটি দেখা যাবে এখানে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, “বিজেপি এমএলএ-কে কি দারুণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন এই মহিলা। এই ধরনের মহিলাদের জন্য (হাততালির ইমোজি)।”
(হিন্দিতে: BJP विधायक का क्या लाजवाब स्वागत कि है इस महिला ने , ऐसी महिलाओं के लिए)
(আর ভিডিওর ওপর হিন্দিতে লেখা: “बीपी विधायक का स्वागत जूतो से किया गया हमीरपुर मैं और करो जुमलेबाजी”।
(বাংলা মানে, “হমিরপুরে বিজেপি বিধায়ককে জুতো দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আরও কর জুলুমবাজি।”)
টুইটারে ভাইরাল
টুইটটি দেখা যাবে এখানে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
হিমাচল প্রদেশ রাজ্য পরিবহন সংস্থার ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট, বিজেপি বিধায়ক নন
ভিডিওটি দেখার সময় একটি ব্যানার চোখে পড়ে। সেটিতে লেখা, ‘হিমাচল পরিবহন মজদুর সঙ্ঘ’। আর তারিখট দেওয়া আছে ‘জুন ২২, ২০১৮’।
‘হিমাচল পরিবহন মজদুর সঙ্ঘ’—এই শব্দগুলি দিয়ে সার্চ করলে জুন ২০১৮’র কিছু সংবাদ প্রতিবেদন সামনে আসে।
অমর উজালায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে ব্যবহার করা ছবিটি ভাইরাল-হওয়া ভিডিও থেকে নেওয়া স্থিরচিত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।
অমর উজালা ব্যক্তিটিকে শঙ্কর সিং ঠাকুর হিসেবে চিহ্নিত করে। উনি হিমাচল প্রদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন ইউনিয়নের রাজ্য প্রেসিডেন্ট। ২৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে, হমিরপুরে এক সভায় যোগ দিতে এলে, উনি ওই দুই মহিলার দ্বারা আক্রান্ত হন।
ওই দুই মহিলা অভিযোগ করেন যে, ঠাকুর তাদের সম্পর্কে একটা অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন। আর সেই কারণেই তারা মারেন ঠাকুরকে।
পরে ওই দুই শিক্ষানবিস বাস কন্ডাক্টারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এই খবর দেয় ‘জাগরণ’, ২৮ জুন ২০১৮ তারিখে।
জুলাই ২০১৮ থেকে ভাইরাল
মিথ্যে ক্যাপশন সমেত ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ২০১৮ সালের অগস্ট থেকে।
বিষয়টি সম্পর্কে আগেই তথ্য-যাচাই করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’। তারা ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, ঠাকুর জানান যে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই, তবে তিনি একজন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) কর্মী।