না, এগুলো ভোট দেওয়ার জন্য তৈরি নকল আঙুল নয়
কৃত্রিম আঙুলের ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এক অদ্ভূৎ দাবি নিয়ে যে, সেগুলি ভোটে কারচুপি করতে ব্যবহার করা হতে পারে
এখন ভোটের মরসুম চলছে। আবার সেই পুরনো নকল বা মিথ্যে ছবি ফিরে আসছে। সেই রকমই একটি আঙুলের ছবির পুনরুজ্জীবন ঘটানো হয়েছে ক্যাপশান দিয়ে। ক্যাপশানে লেখা হয়েছে, “সাবধান। ভোট দেওয়ার জন্য নকল আঙুল তৈরি করা হয়েছে। আমি জানি না আমরা কোথায় যাচ্ছি”?
এই পোস্টে ভোটারদের প্রতি উত্তেজনা মূলক আবেদন জানানো হচ্ছে যে, তারা যেন সতর্ক থাকে। কারণ নির্বাচনে রিগিং করার জন্যই রাজনৈতিক দলগুলি ওই কৃত্রিম আঙুল তৈরি করিয়েছে। তবে পোস্টে অবশ্য কোনও রাজনৈতিক দলের নাম করা হয়নি।
পোস্টটি এখানে দেখা যাবে এবং তার আরকাইভ সংস্করণ দেখা যাবে এখানে।
এই পোস্টটি গত কয়েক ঘন্টায় ফেসবুক ও টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। ছবিটি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে একই ধরনের ছবি দেখতে পায়।যার মধ্যে একটি টুইট শেয়ার করা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন ইলেকশন কমিশনার এসওয়াই কুরেসির হ্যান্ডেল থেকে।
বহু টুইটার ব্যবহারকারী akikofujita.com নামে এই ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
হেডলাইনে লেখা, “এই কৃত্রিম আঙুলগুলি ইয়াকুজা সদস্যদের সংস্কারে সাহায্য করবে। কিন্তু, ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে টুইটটি আর কাজ করে না।
আমরা কৃত্রিম আঙুল নিয়ে একই ধরনের প্রতিবেদন দেখি এবিসি নিউজে । যেগুলি তৈরি করা হয়েছিল জাপানের ভয়ঙ্কর ইয়াকুজা গ্যাংস্টারদের জন্য।
ইয়াকুজা কারা?
ইয়াকুজা জাপানের সংগঠিত অপরাধ সিন্ডিকেটের সদস্য। রিপোর্ট বলছে, তারা খুব কঠোর আচরণবিধি মেনে চলে। এবং অপ্রচলিত আচার অনুসরণ করে। যার মধ্যে একটি হল ইউবিতসুমে (Yubitsume ) , যার সঙ্গে ওই ভাইরাল পোস্টের সরাসরি যোগ আছে।
আঙুলের ছোট অংশ কেটে ক্ষমা চাওয়ার রীতিকে ইউবিতসুমে বলা হয়।
আকিকো ফুজিতা তাঁর রিপোর্টে ওই কৃত্রিম অঙ্গ প্রস্তুতকারক শিন্তারো হায়াসি সম্পর্কে লিখেছেন। যিনি ওই ইয়াকুজার সদস্যদের জন্য কৃত্রিম আঙুল তৈরি করেন। কারণ, সেই সদস্যরা আবার সমাজের অংশ হতে চান। ওই কাটা আঙুল দেখে যাঁদের সহজেই চেনা যায় যে, তাঁরা আগে ইয়াকুজার সদস্য ছিলেন। এবং অতীতে মাফিয়া বা অপরাধ জীবনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের বিষয়টি গোপন করতে সাহায্য করে ওই সিলিকন আঙুলই।