না, মধ্যপ্রদেশের এই মাদ্রাসা ছাত্ররা 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' বলে আওয়াজ তোলেনি
বাস্তবে তারা 'সাবির সাহাব জিন্দাবাদ' বলে তাদের প্রিন্সিপ্যালের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল। 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' বলে আওয়াজ তোলেনি তারা।
মধ্যপ্রদেশের একটি ভিডিও ক্লিপে, এক দল ছাত্রকে তাদের প্রিন্সিপ্যালের সমর্থনে স্লোগান দিতে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ছাত্ররা নাকি পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল।
তিরিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, 'ভিডিওটি মান্দসৌরের অঞ্জুমান স্কুলের। সেখানে স্কুলের বাচ্চারা স্কুল থেকে বেরিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে আওয়াজ তুলছিল'।
(হিন্দিতে লেখা হয়েছিল: वीडियो मंदसौर के अंजुमन स्कूल का बताया जा रहा है छोटे छोटे प्यारे बच्चे ने स्कूल से निकलते ही पाकिस्तान जिंदाबाद के नारे लगाए।)
ভিডিওটি দেখা যাবে এখানে
তথ্য যাচাই
ভিডিওটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলেও, কোনও ফল পাওয়া যায়নি। তাই 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ মান্দসৌর', এই প্রধান শব্দগুলি দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করে বুম। এবার ওই ঘটনা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন সামনে আসে।
রিপোর্টগুলি অনুযায়ী, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে ঘটেছিল। সেখানে একটি মাদ্রাসা/ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্ররা তাদের প্রিন্সিপ্যাল সাবির শেখের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিল।
তারা স্লোগান দিচ্ছিল, 'সাবির সাহাব জিন্দাবাদ' বলে, পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে নয়।
মাদ্রাসা আনওয়ার-উল-উলুম'এর সঙ্গে যোগাযোগ করে বুম। ওই স্কুলের এক অধিকর্তা বলেন, ভিডিওটি মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে।
"ছাত্ররা তাদের প্রিন্সিপ্যালের সমর্থনে 'সাবির সাব জিন্দাবাদ' আওয়াজ তুলছিল। ভিডিওটিতে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে," বলেন উনি।
"মুখ্য পুলিশ সুপার নরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কিও পরিষ্কার বলেন যে, ছাত্ররা পাকিস্তানের সমর্থনে কোনও স্লোগান দেয়নি"
— মহম্মদ ইদ্রিস, মাদ্রাসা অধিকর্তা
ঘটনাটি ১৫ জুলাই ২০১৯ ঘটেছিল। বুম বেশ কয়েকটি স্থানীয় চ্যানেলের ভিডিও দেখে। সেগুলিতে স্থানীয় মানুষ আর সরকারি অধিকর্তারা নিশ্চিত করে বলেন যে, ছাত্ররা 'সাবির সাহাব জিন্দাবাদ' বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল আর ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে আভ্যন্তরীণ বিবাদের জেরেই ঘটনাটি ঘটে। ছাত্ররা আশঙ্কা করছিল তাদের প্রিন্সিপ্যালকে বরখাস্ত করা হবে। তাই তারা তাঁর সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিল।