ফ্যাক্ট চেক
না, আইএএস-এ প্রথম স্থানাধিকারিণী এ ভাবে তাঁর বাবাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন না
ছবির সঙ্গে অনলাইন যে ক্যাপশনটি দেওয়া হচ্ছে, সেটা এরকমই। কিন্তু বুম যাচাই করে দেখেছে, ছবির সঙ্গের ক্যাপশনটি সঠিক নয়।
এক তরুণী কলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ টানা-রিক্সার হাতল ধরে টানছে আর রিকশাওয়ালা সওয়ারির বসার জায়গায় বসে রয়েছে, এমন একটি নাটকীয় দৃশ্যের ছবি অনলাইন এই মর্মে শেয়ার হয়ে চলেছে যে, আইএএস-এ প্রথম স্থানাধিকারিণী এক তরুণী তার নিজের বাবাকে এ ভাবেই জগতের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দিচ্ছে। ছবির সঙ্গে অনলাইন যে ক্যাপশনটি দেওয়া হচ্ছে, সেটা এরকমই। কিন্তু বুম যাচাই করে দেখেছে, ছবির সঙ্গের ক্যাপশনটি সঠিক নয়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের আসলাম বাশা ছবিটি টুইট করেন, যেটি ২৬০০টি 'লাইক' পায়। তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ এবং কেরলের কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ছবিটি পুনরায় টুইট করেন। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী শ্রমণা পোদ্দার এ বছরের এপ্রিলে ছবিটি পোস্ট করেন। ছবিটির বর্ণনা থেকেই স্পষ্ট যে, রিকশা-চালকের সঙ্গে তরুণীটির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে রিকশা-চালকদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা যে ক্রমে পাল্টাচ্ছে—করুণামিশ্রিত সহানুভূতি থেকে তার শারীরিক শ্রম ও টানা-রিকশা চালানোর সূক্ষ্ম কৌশল যে মর্যাদা ও প্রশংসা পাচ্ছে—সেটা ছবিতে ধরা রয়েছে। ছবিটি ১৪ হাজার 'লাইক' পায়। পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। বুম শ্রমণার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনিকোনও 'আইএএস টপার' নন, একজন ট্র্যাভেল ব্লগার—বেড়াতে ভালবাসেন এবং বেড়ানোর অভিজ্ঞতার ছবি ও লেখায় ব্লগ সাজান। বললেন—ছবিটি কয়েক মাস আগে তোলা এবং সে সময়েও এটি ভাইরাল হয়েছিল, কিন্তু তার সঙ্গে এমন উদ্ভট গল্পকথা জোড়া হয়নি। একজন ফোটোগ্রাফারই ছবিটি তুলেছিলেন, তবে এটা কোনও বিজ্ঞাপনী অভিযানের অংশ হিসাবে তোলা হয়নি।
Next Story