না, এই পোস্টারটি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা টাঙায়নি
বুম দেখেছে এই পোস্টারটি উত্তপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহার করা হয়নি, লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ-আন্দোলনের সময় ব্যবহার হয়েছিল।
নরেন্দ্র মোদীকে ‘কাশ্মীরের ড্রাকুলা’ আখ্যা দিয়ে তৈরি একটি পোস্টার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের প্রতিবাদে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নাকি এটা টাঙিয়েছে।
অজিত দোভাল ফ্যান ক্লাবের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা এই হিন্দি টুইটের ভাষা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, “সূত্রের খবর, ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিবাদে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই পোস্টারটি বানিয়েছে। যাদের ভাবনা-চিন্তা এত জঘন্য, তাদের শিক্ষা দিয়ে কী লাভ? উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে (@myogioffice) আমাদের অনুরোধ, যারা এমন কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
(হিন্দিতে মূল টুইটটি: सूत्रों के अनुसार अलीगढ़ मुस्लिम यूनिवर्सिटी के छात्रों ने धारा 370 हटाने के विरोध में इस तरह के पोस्टर लगाए हैं। क्या फायदा ऐसे लोगों को पढ़ाने का जिनकी सोच ऐसी जघन्य हो? उप्र के मुख्यमंत्री श्री @myogioffice जी से निवेदन है कि जिन्होंने ये पोस्टर लगाए हैं उनका ठीक से इलाज हो)
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত টুইটটি ৪১৮ জন রিটুইট করেছে এবং এটি ১ হাজারটি ‘লাইক’ পেয়েছে।
আলিগড় পুলিশ অবশ্য পাল্টা টুইট করে জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনও পোস্টার কেউ দেয়নি।
ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে
পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
পোস্টারটি লন্ডনে প্রতিবাদের
ফেসবুকে ‘মোদী ড্রাকুলা’ এই শব্দদুটি বসিয়ে খোঁজ লাগাতেই আমরা দেখি, সেখানে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে ২০১৯ সালের ১৫ অগস্ট আয়োজিত প্রতিবাদের ভিডিওতে ওই পোস্টারটি ব্যবহার হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ১৫ অগস্ট লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীরা পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
১৬ অগস্ট ফেসবুকে আপলোড হওয়া ভিডিওতেও এই একই পোস্টার এবং প্রতিবাদী বিক্ষোভকারীদের পাকিস্তানের পতাকা হাতে দেখা যাচ্ছে।
১৫ অগস্টেই আপলোড হওয়া অন্য একটি ফেসবুক ভিডিওতেও ওই পোস্টারটিই দেখা যাচ্ছে, যার সামনে একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে।