পুরনো এবং সম্পর্কহীন দুটি ছবি কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনার বলে চালানো হচ্ছে
প্রথম ছবিটি ২০১৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে তোলা এক পুলিশকর্মীর শেষকৃত্যের দৃশ্য আর দ্বিতীয় ছবিটি ২০১৪ সালে গাজায় তোলা হয়।
দুটি ছবি, একটিতে কয়েকজন মহিলা আর ছোট মেয়েদের কাঁদতে দেখা যাচ্ছে; অন্যটিতে দেখা যাচ্ছে ছররার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত একটি মেয়ের মুখ। দুটো ছবিই পুরনো। কিন্তু সেগুলিকে আজকের কাশ্মীরের দৃশ্য বলে শেয়ার করা হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্তি ও সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার ৩২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ওই ছবিগুলি পোস্ট করা হয়েছে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটটির ক্যাপশনে বলা হয়, “অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীরব থাকার অর্থ তা সমর্থন করা।”
তথ্য-যাচাই
প্রথম ছবি
প্রথম ছবিটিতে কয়েকজন অল্পবয়সী মেয়ে ও মহিলাদের কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। এপি ইমেজেস-এর হয়ে সেটি তোলেন মুখতার খান। ছবিটি ১৭ জুন ২০১৭ তারিখে শ্রীনগরের সুরাসয়ার এলাকায় তোলা হয়।
পুলিশকর্মী তানভির আহমেদের মরদেহ শেষকৃত্যের জন্য আনা হলে, ওই মহিলারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ছবিটি তোলা হয় সেই মুহূর্তে।
জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে এক জঙ্গি হামলায় আহমেদ সহ আরও পাঁচ পুলিশ অফিসার মারা যায়। ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ১৬ জুন।
দ্বিতীয় ছবি
দ্বিতীয় ছবিটি তোলেন পুরস্কারপ্রাপ্ত মার্কিন চিত্র সাংবাদিক হেইডি লেভিন। ২০১৪ সালে এটি তোলা হয় গাজায়।
ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম, রয়া আবু জম। বয়স ১৭। ইজরায়েলি বিমান হানায় তার বাড়ি ধ্বংস হলে, সে গুরুতরভাবে আহত হয়।
বিস্ফোরণের ফলে, বোমা থেকে ছুটে আসা ধারালো লোহার টুকরোর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় তার মুখ। পায়ে গর্ত হয়ে যায় অনেক জায়গায়। এবং তার ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত ছবির ক্যাপশন থেকে ওই তথ্য পাওয়া যায়।
বুম ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালেও একবার ওই একই ছবি যাচাই করেছিল। সেই সময় রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি মালিহা লোধি ছবিটিকে কাশ্মীরের বলে চালানোর চেষ্টা করেন। উনি বলেন যে, ভারতীয় সেনার ছররা বন্দুকের গুলিতে এক কাশ্মীরি যুবতি ঘোরতর ভাবে জখম হয়েছে।