মরোক্কোয় কুকুরের আক্রমণের পুরনো ভিডিও কাশ্মীরের ঘটনা বলে চালানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছে যে, কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়ে যারা, প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুকুর তাদের আক্রমণ করে। কিন্তু ভিডিওটি আসলে ২০১৩ সালে মরোক্কোয় তোলা হয়।
মরোক্কোয় তোলা একটি পুরনো ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি ঢিল ছুঁড়লে দুটি কুকুর তাকে আক্রমণ করছে। সেই ভিডিও এখন অনলাইনে শেয়ার করা হচ্ছে এই বলে যে, কাশ্মীরে যাঁরা আন্দোলন করার সময় পাথর ছোঁড়েন, তাঁদের আক্রমণ করছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুকুর।
বাড়ির ওপর থেকে তোলা চাঞ্চল্যকর ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় হলুদ জ্যাকেট পরা এক ব্যক্তি তাঁর দুটি কুকুরকে হাঁটাতে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন হঠাৎই লাল প্যান্ট-পরা একটি লোক কুকুরগুলিকে লক্ষ করে ইঁট ছোড়ে। এর পরেই কুকুর দুটি ওই লাল প্যান্ট-পরা লোকটির দিকে তেড়ে গিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে আটকে রাখে। আর হলদে জ্যাকেট-পরা লোকটি কুকুরদের হাত থেকে ওই ব্যক্তিকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে।
ভিডিওটির সঙ্গে দেওয়া হিন্দি ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “কাশ্মীরি পাথর নিক্ষেপকারীরা আর্মির কুকুরের দিকে ঢিল ছুঁড়ছে…কুকুর সরকারের আদেশের জন্য অপেক্ষা করেনি। তার যা ভাল মনে হয়েছে, সে তাইই করেছে।”
(হিন্দিতে লেখা বয়ান: पत्थर फेकने वाले कश्मीरी युवक ने सेना के कुत्ते पर पत्थर फेंका….कुत्ते ने सरकार के ऑर्डर का इंतजार नही किया उसने वो किया जो सही था|)
বিগত কয়েকদিনে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য-যাচাই
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে সামনে আসে ২০১৩ সালে ইউটিউবে আপলোড করা এক ভিডিও। তার ক্যাপশনে বলা হয়েছিল, “কর্ম! উন্মত্ত ও বোকারা কুকুরের দিকে ইঁট ছোঁড়ে এবং বিচার হিসেবে পায় কুকুরের আক্রমণ!”
ওই একই ভিডিও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও আপলোড করা হয়।
ওপরের ভিডিওটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয় ঘটনাটি ঘটে মরোক্কোয়।
ওই ঘটনাটি সম্পর্কে এপ্রিল ২০১৩’য় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও চোখে পড়ে আমাদের। তাতে বলা হয়, কুকুর নিয়ে হাঁটছিলেন যিনি তাঁর সঙ্গে রাস্তায় অন্যান্য লোকজনের বচসা বাঁধলে ওই আক্রমণ ঘটে।
খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলেই বোঝা যায়, যে ভাষায় কথা হচ্ছে সেটি কাশ্মীরি, উর্দু বা তার কোনও সমগোত্রীয় ভাষাই নয়।