ইউনেস্কো ইসলামকে শান্তির ধর্ম ঘোষণা করেছে—জেগে উঠল অসত্য পুরনো প্রতিবেদন
ইউনেস্কো ২০১৬ সালের জুলাই মাসেই বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করে জানিয়েছিল প্রতিবেদনে ব্যবহার করা ওই শংসাপত্রটি ভুয়ো।
ফেসবুক পোস্টে একটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভুয়ো খবরের প্রতিবেদন শেয়ার করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ইউনেস্কো নাকি শংসায়িত করেছে ইসলাম শান্তির ধর্ম।
ফেসবুক পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে “ইউনেস্কো এবার প্রমান করলো ইসলামই একমাত্র শান্তির ধর্ম। সো ক্লিয়ার নাস্তিক বন্ডুরা”
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটি লাইক করেছেন ২৮০ জন ও মন্তব্য করেছেন ৫৪ জন।
পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
বুম ওই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনটিও খুঁজে পেয়েছে। প্রতেবেদনটি পড়া যাবে এখানে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
ইউনেস্কো ২০১৬ সালেই এব্যাপারে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে খবরটি সত্য নয়।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই জন্টাকেরিপোর্টার নামে একটি ব্যাঙ্গাত্মক খবরের পোর্টাল ইউনেস্কো ইসালামকে শান্তির ধর্ম বলে শংসায়িত করেছে বলে ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। বাংলাদেশি গণমাধ্যম যুগান্তর ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই একই ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেছে।
ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ১১ জুলাই গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিটিতে লেখা হয়, “আমরা সাম্প্রতিক অভিযোগ ওঠা ওয়েবসাইট জন্টাকারিপোর্টোর যেখানে বলা হয়েছে একটি কথিত বিবৃতি ও ইউনেস্কোর শংসাপত্র যে ‘ইসলাম বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ম’ এর ব্যাপারে অবহিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করছি। এই ধরনের মন্তব্য সংস্থা করেনি এবং ওই ওয়েবসাইটের শংসাপত্রটি জাল। এই ওয়েবসাইটি যে তথ্যগুলি প্রকাশ করেছে সেগুলি ব্যাঙ্গাত্মক
ইউনেস্কোর সঙ্গে ‘‘ইন্টারন্যাশানাল পিস ফাউন্ডেশন’’ নামে কোনও সংস্থার কোনও দপ্তরীয় সম্পর্ক ছিলনা, এবং এ ধরনের কোনও বিবৃতি সমর্থন করেনি বা বিবৃতির অধিকার দেয়নি। আদেশের এক্তিয়ারে থেকে সংস্থার দায়িত্ব আছে এর সদশ্য দেশগুলি ও সহযোগীর সাথে নিশ্চিতরূপে বিশ্বের নিরিখে বিভিন্ন ধর্ম এবং সংস্কৃতির কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ইউনেস্কো। এটি করতে গিয়ে, ইউনেস্কো সমানভাবে সবরকমের আচার, বিশ্বাস শ্রদ্ধার সঙ্গে উৎসাহিত করে এবং যখনই সম্ভব তাদের মধ্যে সুদৃঢ় বন্ধনে সেতু নির্মান করে।’’