বাংলাদেশের মুসলিম প্রতিবেশীদের বিবাদের পুরনো ছবি হিন্দুদের উপর অত্যাচার বলে ভাইরাল
৪ অক্টোবর ২০১৮ ‘একটি বাংলাদেশ’ নামে ওয়েব পোর্টালে প্রাকাশিত হয়েছিল খবরটি। জমিবিবাদ কে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী করিম মন্ডলের মেয়েকে গাছে বাঁধে ফারুক নামে এক ব্যক্তি।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ফেসবুক পোস্টে একটি মেয়ের ছবি শেয়ার করে দাবি করেছেন সেটি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ছবি। ছবিটির দৃশ্যে সালোয়ার কামিজ পরিহিত মেয়েটিকে হাত পিছমোড়া করে কোমরে ও পায়ে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখা হয়েছে। মেয়েটির মুখও ওড়না বাঁধা।
ওই পোস্টটিতে লেখা রয়েছে- “সাবাশ বাংলাদেশ। এগিয়ে যাও নির্যাতনে আর ধর্ষনে বান্দারবান জেলার লামা উপজেলার ফাইতং এ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কলেজ ছাত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন। দেশের আইন এখন কোথায়? এটা এক চরম বেদনাময় চিত্র। এটি কোনও সভ্য সমাজের আচরন বতে পারে না।” পোস্টটিতে ওই ব্যক্তি ক্যাপশন লিখেছেন, “বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে।”
যদিও ছবিটির সাথে যে বার্তা দেওয়া আছে সেটি সঠিক, কিন্তু, ফেসবুকে এটি ভাইরাল হয়েছে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে - হিন্দু ধর্মের ব্যক্তিদের উপর অত্যাচার।
পোস্টটি ১১০ জন লাইক ও ২৭১ জন শেয়ার করেছেন। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করেছিল। ৪ অক্টোবর ২০১৮ ‘একটি বাংলাদেশ’ নামে ওয়েব পোর্টালে প্রাকাশিত হয়েছিল খবরটি । ঘটনাটি বাংলাদেশের বান্দারবান লামা বা ফাইতং ফাদোখোলার।
ঘটনার সূত্রপাত জমি দখলকে কেন্দ্র করে। গাছে বেঁধে রাখা মহিলার নাম জুহাইরা বেগম। তার বাবা করিম মন্ডলের সঙ্গে প্রতিবেশী ফারুকের জমি বিবাদ অনেকদিনের। ফারুক তার দলবল নিয়ে চড়াও হয় করিমের বাড়ি।
বাড়ি ভাংচুর করে স্বর্ণালঙকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সহ ৫ লক্ষ টাকার মালপত্র লুটতরাজ করে। করিমের স্ত্রী ও মেয়েদের দড়ি বেঁধে সম্মানহানির চেষ্টা চালায়। পরে এলাকাবাসীর তৎপরতায় ফারুকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ওই ঘটনায় ফারুকের আর এক সাগরেদ বাদশা কেউ গ্রেফতার করে।