কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনা বলে গাজার পুরনো ছবি শেয়ার
বুম যাচাই করে দেখেছে ছবি দুটি কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ছবি নয়।

ফেসবুকে মা ও সন্তানের দুটি ছবি শেয়ার করে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে সেটি কাশ্মীরের ছবি। প্রথম ছবিতে এক শিশু ও মহিলার রক্তাক্ত মুখে দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ছবিটিতে আরএকজন শিশু কোলে নিয়ে এক মহিলাকে অশ্রুসজল অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। মহিলাটি আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে রয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘‘এটা কাশ্মীর...! হয়তো এই ছবি দেওয়ার কারণে একটু পর আবার ব্লক খাবো ফেসবুকে। কারণ তারা কাশ্মীরের খবর প্রচার করতে দিচ্ছে না। হে আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন –আমিন’’
এই প্রতিবেদন লেখার সময় প্রর্যন্ত পোস্টটি ৩৩১ জন লাইক ও ১৫৮ জন শেয়ার করেছে। প্রতিবেদনটি দেখা যাবে এখানে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে জেনেছে প্রথম ছবিটি প্যালেস্তাইনের গাজার ও দ্বিতীয় ছবিটি কাশ্মীরের হলেও পুরনো।
প্রথম ছবি
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তর গাজার জেবালিয়া উদ্বাস্তু ক্যাম্পে ইসরায়িলী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় সামিরা বালুসার ৫ জন মেয়ে মারা যায়। তিনি তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে ইমান ও মহাম্মদ কে নিয়ে পারলৌকিক ক্রিয়া দেখছিলেন। জবালিয়ার একটি মসজিদকে লক্ষ্য করে ইসারায়িলী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ঘুমন্ত অবস্থায় শেবার ঘরে সামিরা বালুসার ৫ মেয়ে মারা যায়। ছবিটির দেখা যাবে গেটি ইমেজস-এ। ছবিটি তোলেন আবিদ কাতিব।

দ্বিতীয় ছবি
এই ছবিটি দেখা যাবে ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। সেনা সূত্র অনুযায়ী অক্রমনাত্মক জনাতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার ত্রেহগামে দোকানে থাকা ২২ বছরের যুবক খালিদ মারা যায়। খালিদের তিন ভাইই পুলিশ ও সেনায় কর্মরত। খালিদের শেষযাত্রা যাওয়ার সময় কাঁদতে থাকা মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দিচ্ছে এক শিশু। ছবিটি তোলেন আবু বাকের। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।

Claim : কাশ্মীরের খবর প্রচার করতে দিচ্ছে না। হে আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন
Claimed By : FACEBOOK POST
Fact Check : MISLEADING
Next Story