উত্তরপ্রদেশের দলিত পরিবারের পুরনো নগ্ন ছবি ছড়াল বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা বলে
২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার দানকাউরে এই ঘটনাটি ঘটে। দুটি পারস্পরিক বয়ানমাফিক এটিকে পুলিশের হেনস্থা কিংবা স্বতোপ্রণোদিত নগ্ন প্রতিবাদ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে বিবস্ত্র নারী ও পুরুষের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষের উপর মুসলিমদের অত্যাচারের ছবি।
ছবিটিতে একজন পুরুষ ও মহিলাকে নগ্ন ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। মহিলাটি একটি বাচ্চাকে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। পাশে সাদা জামা ও নেভি-ব্লু প্যান্ট পরিহিত কয়েকজন (সম্ভবত) স্কুল ছাত্র দাঁড়িয়ে রয়েছে।
পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা - হয়েছে, “বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নৃশংস অত্যাচার করেই চলেছে সংক্ষাগুরু সম্প্রদায়।”
এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটি ২০০০ এর বেশি শেয়ার হয়েছে এবং ৪৩১ জন লাইক করেছেন। ফেসবুক পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে জেনেছে ঘটনাটি ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের। উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার দানকাউর-এর ঘটনা এটি।
একটি প্রতিবেদনের বয়ান অনুযায়ী এক দলিত পরিবার প্রধান সুনিল গৌতম চুরির অভিযোগ জানাতে দানকাউর থানায় গেলে পুলিশ তাকে হেনস্থা করে।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার ও জাতিবৈষম্যের অভিযোগ আনা হয়। পরে তারা নিজেরা বিবস্ত্র হয়ে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের অন্য একটি বয়ান অনুয়ায়ী প্রথমে দানকাউর থানার পুলিশ আধিকারিকরা তিন জন মহিলার মধ্যে একজন মহিলাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করলে বাকি দুজন মহিলা বিবস্ত্র হয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।
পুলিশ আধিকারিক প্রবীন যাদব অবশ্য সুনীল গৌতমের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। পুলিশ ৩ জন মহিলা সহ পরিবারের ৫ জনকে অশ্লীলতার অভিযোগে গ্রেফতার করে। জাতীয় তপশিলী জাতি কমিশন সেসময় ওই এলাকা প্রদর্শনে গিয়েছিল।
২০১৮ সালে এই ঘটনার ভিডিওটি ‘‘উত্তরপ্রদেশে খ্রিষ্টান পাদ্রী ও তার স্ত্রীর হেনস্থা’’ বলে সেশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
বুমের ওই দাবিকে নস্যাত করা প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।
Claim Review : বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ছবি
Claimed By : FACEBOOK POSTS
Fact Check : FALSE
Next Story