জম্মুতে বাচ্চাদের গাওয়া ‘হিন্দুস্তান হামারা হ্যায়’ গানের ভিডিও কাশ্মীরে উৎসবের ভিডিও বলে চালানো হচ্ছে
এপ্রিল মাসে জম্মুতে বিজেপি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও এটি।

একটি ভিডিওতে, বিজেপি-আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের ‘হিন্দুস্তান হামারা হ্যায়’ গানটি গাইতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেটিকে শেয়ার করা হচ্ছে এই বলে যে, কাশ্মীরের বাচ্চারা ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। কিন্তু বুম জানতে পারে, ভিডিওটি তোলা হয় জম্মুতে, এপ্রিল মাসে।
সম্প্রতি ভারত সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে। সেই সঙ্গে লোপ পেয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা। এই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতেই শেয়ার করা হচ্ছে ভিডিওটি। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে, রাজ্যটি এখন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। সেখানে ছিন্ন করা হয়েছে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা।
টুইটার ব্যবহারকারী গীতিকা স্বামী ভিডিওটি পোস্ট করেন। সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়, “#পরিবর্তনকে স্বাগত জানাচ্ছে কাশ্মীর। কাশ্মীরে বাচ্চারা ‘হিন্দুস্থান হামারা হ্যায়’ গাইছে। ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ায়, সেকুলার ব্যক্তিদের মুখ ভার হয়েছে। কিন্তু সাধারণ কাশ্মীরি বিশাল ভারতের সঙ্গে উৎসবে মেতেছে!”
মাথায় ফেজ টুপি পরে বাচ্চাদের ‘হিন্দুস্থান, হিন্দুস্থান, হিন্দুস্থান হামারা হ্যায়’ গানটি গাইতে দেখা যাচ্ছে ভিডিওটিতে।
টুইটটি নীচে দেখা যাবে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
একই ক্যাপশন সমেত ভিডিওটি ফেসবুকেও শেয়ার করা হয়েছে।
তথ্য যাচাই
গানটির কথাগুলি দিয়ে গুগুলে সার্চ করলে, বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীর শাখা দ্বারা আপলোড করা একটি ভিডিও সামনে আসে। সেটি ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে বিজেপির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছিল। সেটির শিরোনামে বলা হয়, “কিস্তওয়ারের ইন্দারওয়াল চাল্লার নামে একটি জায়গায় অনুষ্ঠিত বিজেপির জনসভায় বাচ্চারা ‘ইয়ে হিন্দুস্থান হামারা হ্যায়’ গানটি গাইছে।”
বুম দেখে কিস্তওয়ার জায়গাটি জম্মুতে, কাশ্মীরে নয়।
বিজেপির জম্মু ও কাশ্মীর শাখার নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডল ওই একই ভিডিও ১৫ এপ্রিল পোস্ট করে।
জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় বিজেপি নেতা মুনিশ শর্মা ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করেন। উনি ‘ফেসবুক লাইভ’ হিসেবে শেয়ার করেন ভিডিওটি। ক্যাপশনে বলা হয়, “দেখুন, দেশে পরিবর্তনের হাওয়া। আমরা এখন জম্মু ও কাশ্মীরের সুদূর চেল্লার ইন্দারওয়ালে রয়েছি। বিজেপির এক সভায়, মাদ্রাসার বাচ্চারা ‘ইয়ে হিন্দুস্থান হামারা হ্যায়’ গাইছে। এই জায়গা উগ্রপস্থার শিকার ছিল। কিন্তু এখন সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হয়ে গেছে। জয় হিন্দ।”